Footballer Death: শুধু মার্কো নন, অভিশপ্ত গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার আরও দুই ফুটবলার, শোকস্তব্ধ গোটা বিশ্ব
Car Accident: যে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে কোমায় ছিলেন মার্কো, সেই দুর্ঘটনা শুধু তাঁরই নয়, কেড়ে নিয়েছে আরও দুই প্রাণ।
ক্যুইটো: বিশ্বের সমস্ত ফুটবলপ্রেমীর প্রার্থনা ব্যর্থ করে প্রয়াত হয়েছেন ইকুয়েডরের ফুটবলার মার্কো আঙ্গুলো (Marco Angulo)। মাত্র ২২ বছর বয়সে নিভে গিয়েছে তাঁর জীবন প্রদীপ। প্রায় এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষার পর বুধবার মারা যান মার্কো।
তবে যে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে কোমায় ছিলেন মার্কো, সেই দুর্ঘটনা শুধু তাঁরই নয়, কেড়ে নিয়েছে আরও দুই প্রাণ। গাড়িতে মার্কোর সঙ্গে ছিলেন যাঁরা। তাঁরা হলেন ইন্ডিপেনডিয়েন্তে জুনিয়র্সের (Independiente Juniors) রবার্তো কাবেজাস সিমিস্তেরা (Roberto Cabezas Simisterra) ও ভিক্টর চারকোপা নাজারেনো (Victor Charcopa Nazareno)। এই দুজনই দুর্ঘটনার পরই মারা যান। হাসপাতালে লড়াই চালাচ্ছিলেন মার্কো। সেই লড়াইয়ে তিনিও হার মানলেন বুধবার।
৭ অক্টোবর সেই অভিশপ্ত দিন। সেদিন ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ জেনারাল রুমিনাহুই হাইওয়ের ওপর একটি ধাতব স্তম্ভে গিয়ে ধাক্কা মারে মার্কোর গাড়ি। গুরুতর জখম হয়েছিলেন মার্কো। তাঁর মাথায়, ফুসফুসে গুরুতর চোট লাগে। চেস্ট টিউব পরিয়ে রাখতে হয়। তবে রবার্তো কাবেজাস সিমিস্তেরা ও ভিক্টর চারকোপা নাজারেনোর চোট ছিল আরও গুরুতর। তাঁরা সেই সময়ই প্রাণ হারান। রবার্তো কাবেজাস সিমিস্তেরা ছিলেন মার্কো আঙ্গুলোর সমবয়সী। তাঁর বয়সও ছিল মাত্র ২২ বছর।
জানা গিয়েছিল, সেই গাড়িতে মোট পাঁচজন ছিলেন। রবার্তো খেলতেন আইডিভি জুনিয়র্স দলে। ভিক্টর চারকোপাও নিহত হন। বুধবার মারা গেলেন মার্কো আঙ্গুলোও। সব মিলিয়ে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় মোট তিনজন প্রাণ হারালেন।
Marco Angulo, futbolista ecuatoriano de 22 años, murió como consecuencia de un choque en automóvil
— Proceso (@proceso) November 13, 2024
Cinco personas viajaban con Angulo en el vehículo que colisionó contra una viga, entre ellas el futbolista Roberto Cabezas, quien murió instantáneamente.https://t.co/rnrJyxHgAR
২০০২ সালে কুইনিন্দে-তে জন্মগ্রহণ করেন কাবেজাস। ২০২০ সালে কোপা লিবের্তাদোরেস চ্যাম্পিয়ন ইন্ডিপেনডিয়েন্তে দেল ভালে ক্লাবের দলে ছিলেন তিনি। ইকুয়েডরের অনূর্ধ্ব ১৭ দলের হয়ে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন। খুবই প্রতিভাবান হিসাবেই তাঁকে চিহ্নিত করেছিলেন সকলে। কাবেসিতাস স্পোর্টস ক্লাবে তাঁর বাবার কাছেই ফুটবলে হাতেখড়ি। কাবেজাসের অকাল প্রয়াণ মেনে নিতে পারেনি তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের ভারতীয় দলে সুযোগ, পা মাটিতে রেখে চলতে চান বাংলার পেসার যুধাজিৎ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।