Ind vs Aus Exclusive: বাঙালি কন্যায় আস্থা, হরমনপ্রীতের অভাব পূরণ করতে তৈরি রিচা, বলছেন প্রাক্তন তারকা
nooshin al khadeer: শুক্রবার সিরিজ বাঁচানোর লড়াই মিতালি রাজ-ঝুলন গোস্বামীদের। সামনে বিশ্বের এক নম্বর দল। টানা ২৫টি ওয়ান ডে জিতে মহিলা ক্রিকেটে যারা নতুন কীর্তি গড়ে ফেলেছে।
কলকাতা: সামনে বিশ্বের এক নম্বর দল। টানা ২৫টি ওয়ান ডে জিতে মহিলা ক্রিকেটে যারা নতুন কীর্তি গড়ে ফেলেছে। দোর্দণ্ডপ্রতাপ সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে একপেশেভাবে হেরেছে ভারত। কাল, শুক্রবার সিরিজ বাঁচানোর লড়াই মিতালি রাজ-ঝুলন গোস্বামীদের।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতীয় মহিলা দলের সামনে কঠিন পরীক্ষা মেনে নিলেও প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার নুশিন আল খাদির। আর তাঁকে ইতিবাচক করে তুলেছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে-তে এক বাঙালি কন্যার পারফরম্যান্স। রিচা ঘোষ। শিলিগুড়ির উইকেটকিপার-ব্যাটার প্রথম ওয়ান ডে-তে ২৯ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেলেছেন। নুশিনের মতে, হরমনপ্রীত কউরের অভাব পূরণ করার জন্য তৈরি হচ্ছেন রিচা।
চোটের জন্য হরমনপ্রীতের না থাকা ভারতীয় দলকে কতটা বিপাকে ফেলেছে? জুম কলে এবিপি লাইভকে জাতীয় দলের প্রাক্তন স্পিনার বললেন, 'হরমনপ্রীতের না থাকাটা বড় ব্যাপার। তবে এর ইতিবাচক দিকও দেখতে হবে। দুই অভিষেককারী ইয়াস্তিকা ভাটিয়া ও বাংলার রিচা ঘোষ খুব ভাল খেলেছে। ওরা দেখিয়ে দিয়েছে বড় মঞ্চে সফল হওয়ার মতো মশলা রয়েছে।' এরপরই নুশিন বলছেন, 'রিচা প্রতিভাবান। উইকেটকিপিংয়ে অনেক উন্নতি করেছে। পরিশ্রম করছে। জুনিয়র ক্রিকেট থেকে রিচার ব্যাটিং দেখছি। ভয়ডরহীন ব্যাটার। হরমনপ্রীত না থাকায় নিজেকে ব্যাট হাতে প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছে। কাজে লাগাচ্ছে। হরমন না থাকলেও ইয়াস্তিকা ও রিচা তৈরি হচ্ছে। সেটা খুব ভাল লক্ষ্মণ। মিতালি অভিজ্ঞ। চাপের মুখে খেলতে অভ্যস্ত। তবে হরমনের না থাকাটা নতুনদের কাছে আশীর্বাদ হতে পারে।'
তবে হরমনপ্রীতের না থাকাটা যে 'ফ্যাক্টর', মানছেন নুশিন। বলছেন, 'হরমনপ্রীত ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। ২০০৯ সালে ওর অভিষেক হয়েছিল। সেই থেকে নিজেকে প্রমাণ করেছে। টি-টোয়েন্টি দলের ক্যাপ্টেন। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওর ১৭১ রানের ইনিংস অজিদের ছিটকে গিয়েছিল।'
প্রথম ওয়ান ডে-তে সমস্যা কোথায় হয়েছিল? নুশিন বলছেন, 'আমরা ওদের উইকেট ফেলতে পারিনি। ওরা সহজে রান তুলে নিয়েছিল। আমরা ২০-২৫ রান কম করেছিলাম। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে গেলে ২৬০-২৭০ রান তুলতেই হবে। আমাদের এক্স ফ্যাক্টর শেফালি বর্মা আগের ম্যাচে চেনা ছন্দে ছিল না। স্মৃতি মান্ধানা রান পায়নি। অস্ট্রেলিয়ায় উইকেট ব্যাটারদের সাহায্য করছে। আরও বড় রান করতে হবে।'
টানা ২৫ ম্যাচ জিতে নতুন কীর্তি গড়েছে মেগ ল্যানিংয়ের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া। সেটা কি বাড়তি চাপ ভারতের? নুশিন মানতে নারাজ। বলছেন, 'কে কটা ম্যাচ জিতেছে সেটা ভেবে কেউ মাঠে নামে না। ক্রিকেটারেরা এসব ভাবে না যে, আমরা ২৫টি জিতেছি নাকি হেরেছি। সকলেই জেতার লক্ষ্যে মাঠে নামে। তাই অস্ট্রেলিয়া টানা ২৫টি ওয়ান ডে ম্যাচ জিতেছে বলে ভারতের ওপর বাড়তি চাপ থাকবে না।'
বোলিং নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে নুশিনের মনে। বলছেন, 'মেঘনা সিংহ ভাল বল করেছে। ওকে এক ম্যাচে দেখে মূল্যায়ন করলে হবে না। দক্ষতা রয়েছে। বাউন্সার করতে পারে, স্যুইং রয়েছে। ঝুলন ভাল বল করেছে, তবে উইকেট তুলতে হবে। তবে আরও নিয়ন্ত্রণ দেখাতে হবে। আগের ম্যাচে এক জায়গায় বল করতে পারিনি। কখনও অফস্টাম্পের বাইরে তো কখনও লেগস্টাম্পের বাইরে বল করেছে। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের হাত খোলার সুযোগ দিলে হবে না।' যোগ করেছেন, 'ব্যাটিংয়ে শেফালি-স্মৃতি ভাল শুরু দিলে বড় ইনিংস হবে। তেমন বোলিংয়ে শুরুতেই উইকেট তুলতে হবে।'
ঘুরে দাঁড়ানোর দাওয়াই বাতলে দিচ্ছেন প্রাক্তন তারকা। নুশিন বলছেন, 'শুরুটা ভাল করতে হবে। মিডল অর্ডারকে রান করতে হবে। আগের ম্যাচে মিডল অর্ডারে বিপর্যয় হয়েছিল। দীপ্তি শর্মা, স্নেহ রানাদের রান করতে হবে। আর বোলিংয়ে শুরুতেই উইকেট তুলতে হবে। তাহলেই জব্দ হবে অস্ট্রেলিয়া।'