ফিফা ক্রমতালিকায় ৯৬ স্থানে উঠল ভারত, দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা র্যাঙ্কিং
নয়াদিল্লি: ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৯৬ নম্বরে উঠে এল ভারত। দেশের ফুটবলের ইতিহাসে এটিই দ্বিতীয় সেরা র্যাঙ্কিং।
১০০ নম্বর থেকে চার ধাপ এগিয়ে ৯৬ স্থানে উঠে এল ভারত। এশিয়ায় ভারতের স্থান দ্বাদশ। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে সেরা ফিফা র্যাঙ্কিং হল ৯৪। যা অর্জিত হয়েছিল ২৩ বছর আগে।
সাম্প্রতিক অতীতে ভারতীয় ফুটবলে উল্লেখযোগ্য উত্থান ঘটেছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে। গত ২ বছরে ক্রমতালিকায় ৭৭ ধাপ এগিয়েছে ভারতীয় ফুটবল। গত ১৫টি ম্যাচের মধ্যে ১৩টিতে জয় পেয়েছে ভারত। এর মধ্যে শেষ ৮টি ম্যাচে তারা অপরাজিত।
১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৯৪ র্যাঙ্কে পৌঁছেছিল ভারত। তারপর এতদিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ র্যাঙ্ক ছিল ৯৯। যা ভারত অর্জন করেছিল ১৯৯৩ সালের নভেম্বরে। এদিন, তাকেই ছাপিয়ে গেল ভারত।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। ২ মাসের মধ্যে ২ ধাপ নেমে ১৭৩-এ নেমে যায়। সেখান থেকে পরের দুবছরে ১০০ র্যাঙ্কের মধ্যে ঢুকে গেল ভারতীয় ফুটবল।
এই উত্থানের জন্য দেশের ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছে ভারতের ফুটবল সংস্থা। এআইএফএফ সভাপতি প্রফুল্ল পটেল বলেন, এটা ভারতীয় ফুটবলের বিশ্বাসের বিরাট লাফ। ২ বছর আগে আমরা ১৭৩ ছিলাম। এখন আমরা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং লাভ করেছি। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ভারতীয় ফুটবলের কতটা ক্ষমতা রয়েছে। জাতীয় দল, কোচ, স্টাফ এবং এআইএফএফ-কে অভিনন্দন।
সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কুশল দাস বলেন, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর মাকাউয়ের বিরুদ্ধে এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত। তার আগে এই র্যাঙ্কিং দলকে উদ্বুদ্ধ করবে। এই মাইলস্টোন ছোঁয়ার জন্য দল নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। এর জন্য তাদের কুর্নিশ। এখন ২০১৯ সালের এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।
দলের কোচ কনস্ট্যানটাইন বলেন, যখণ আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন প্রথম লক্ষ্য ছিল র্যাঙ্কিংকে ১০০-র নীচে করা। এই প্রক্রিয়ায় ছোট্ট অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি। এর জন্য দলের প্রত্যেক ফুটবলার, স্টাফকে অসংখ্য ধন্যবাদ। একইসঙ্গে, আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য এবং আমাকে আমার মতো করে কাজ করতে দেওয়ার জন্য প্রফুল্ল পটেল ও কুশল দাসকেও ধন্যবাদ।
যদিও, কনস্ট্যানটাইন যোগ করেন, র্যাঙ্কিং ১০০-র নীচে এসেছে বলে অনেক কিছু অর্জন করেছি এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। আত্মতুষ্ট হলে চলবে না। সামনের চ্যালেঞ্জের জন্য মনোনিবেশ করতে হবে। তিনিও জানান, এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করাটা জরুরি। প্রসঙ্গত, শেষবার ভারত ২০১১ সালে দোহা এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
এদিকে, কনফেডারেশন্স কাপ জয়ের ফলে ব্রাজিলকে টপকে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান পুনরায় দখল করল জার্মানি। তিনে রয়েছে আর্জেন্টিনা, চার ও পাঁচে যথাক্রমে রয়েছে পর্তুগাল ও সুইৎজারল্যান্ড।