Indonesia Open 2021: মাত্র ৩৭ মিনিটে জয়, ইন্দোনেশিয়া ওপেনের শেষ আটে সিন্ধু
ব্যাডমিন্টন কোর্টে ফের চেনা ছন্দে পি ভি সিন্ধু (PV Sindhu)। ইন্দোনেশিয়া ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে বিশ্বের ২৬ নম্বর প্লেয়ারের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন বিশ্ব ব়্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বরে থাকা সিন্ধু।
বালি: ব্যাডমিন্টন কোর্টে ফের চেনা ছন্দে পি ভি সিন্ধু (PV Sindhu)। ইন্দোনেশিয়া ওপেনে (Indonesia Open) দাপট দেখাচ্ছেন ভারতীয় শাটলার। এই টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের পর দ্বিতীয় রাউন্ডে দাপুটে জয় পেলেন ভারতের তারকা শাটলার পি ভি সিন্ধু। ২৩ বছর বয়সী জার্মান শাটলার ইভন লিকে (Yvonne Li) স্ট্রেট গেমে হারালেন অলিম্পিক্সে দুবার পদকজয়ী তারকা। বৃহস্পতিবার মাত্র ৩৭ মিনিটেই ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলেন সিন্ধু।
ইন্দোনেশিয়া ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে বিশ্বের ২৬ নম্বর প্লেয়ারের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন বিশ্ব ব়্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বরে থাকা সিন্ধু। এর আগে ইভনের বিরুদ্ধে কখনও খেলেননি তিনি। তাই এই ম্যাচেই প্রথম সাক্ষাৎ হল দুই শাটলারের। প্রথম থেকেই ম্যাচের রাশ নিজের হাতে রাখতে থাকেন সিন্ধু। ২১-১২ তে প্রথম গেমে জেতার পর, দ্বিতীয় গেমে ২১-১৮ তে জেতেন সিন্ধু। দ্বিতীয় গেমে লি ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জার্মান শাটলারকে দাঁড়াতে দেননি সিন্ধু।
আরও পড়ুন: ৭ বছর আগে গ্রিনপার্কেই বাঁচিয়েছিলেন কেরিয়ার, হতাশা কাটিয়ে আলোর পথে শ্রেয়স
টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডে জাপানি তারকা শাটলার আয়া ওহোরির (Aya Ohori) কাছে প্রথম গেমে ১৭-২১ হারলেও পরের দুই গেম ২১-১৭, ২১-১৭ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছেছিলেন সিন্ধু। এ বার টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে (quarterfinals) স্পেনের বিট্রিজ কোরালেস (Beatriz Corrales) কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার বল সিম ইউজিনের (Sim Yujin) বিরুদ্ধে খেলবেন তিনি।
প্রথম ভারতীয় অ্যাথলিট হিসেবে টানা ২ বার অলিম্পিক্সের মঞ্চ থেকে পদক জিতেছেন। নিজে অবিস্মরণীয় সাফল্য অর্জন করেছেন, এবার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করতে চান। কিছুদিনের মধ্যেই নিজের ব্যাডমিন্টন ট্রেনিং অ্যাকাডেমি তৈরি করছেন পিভি সিন্ধু। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের সহায়তায় বিশাখাপত্তনমে হবে এই অ্যাকাডেমি। এই বিষয়ে সিন্ধু জানিয়েছেন, ‘আমি কিছুদিনের মধ্যেই বিশাখাপত্তনমে একটি ট্রেনিং অ্যাকাডেমি শুরু করতে চলেছি। এখানে ছোটদের খেলা শেখানো হবে। এই অ্যাকাডেমি তৈরি করতে রাজ্য সরকার সাহায্য করছে। ঠিকমতো উৎসাহ না পাওয়ার ফলে অনেক বাচ্চা ছেলে-মেয়ে পিছিয়ে পড়ছে। আমি তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই।’