ABP Exclusive: তিন প্রাক্তন নাইট দিয়েই কেকেআরের স্বপ্ন ধ্বংস করার ছক কষছে গুজরাত
IPL 2023: প্রথমজন উইকেটকিপার-ব্যাটার। দ্বিতীয়জন ফাস্টবোলার। তৃতীয়জন ওপেনার। তিনজনই প্রাক্তন নাইট। শনিবার তিন প্রাক্তন সৈনিকই কেকেআরের সবচেয়ে বড় কাঁটা হতে পারেন।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: কলকাতা নাইট রাইডার্সে তখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের যুগ। শিলিগুড়ির তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটারকে নিলাম থেকে তুলে নিল কেকেআর। নাইটদের হয়ে ম্যাচও খেললেন। ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) অবশ্য পরে শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েন।
মহম্মদ শামিও (Mohammed Shami) আইপিএল (IPL) কেরিয়ারের শুরুর দিকেই কেকেআরের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তবে ডানহাতি পেসারের ওপর খুব বেশিদিন ভরসা দেখাতে পারেনি কেকেআর। অপাংক্তেয় করে ফেলা হয়েছিল শামিকে।
তালিকায় সাম্প্রতিকতম সংযোজন শুভমন গিল (Shubman Gill)। যাঁকে ভারতীয় ক্রিকেটের নেক্টস বিগ থিং বলা হচ্ছে। কেকেআরে খেলেই যাঁর উত্থান। অথচ অদ্ভুত কোনও অজানা কারণে উপেক্ষিত হন। গিলকে ছেঁটে ফেলে কেকেআর। তারপর থেকে গুজরাত টাইটান্সের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন তিনি।
প্রথমজন উইকেটকিপার-ব্যাটার। দ্বিতীয়জন ফাস্টবোলার। তৃতীয়জন ওপেনার। তিনজনই প্রাক্তন নাইট। শনিবার তিন প্রাক্তন সৈনিকই কেকেআরের সবচেয়ে বড় কাঁটা হতে পারেন। তিন প্রাক্তনীকে দিয়েই নাইটদের স্বপ্ন ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে গুজরাত টাইটান্স।
সবচেয়ে বড় কথা, ঋদ্ধিমান ও মহম্মদ শামি - দুজনই ছিলেন বাংলার ক্রিকেটার। ছিলেন লিখতে হচ্ছে কারণ, ঋদ্ধি এখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন ত্রিপুরার হয়ে। শামি এখনও খাতায় কলমে বাংলারই ক্রিকেটার। তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচের ফাঁকে সময় বার করে ঘরোয়া ক্রিকেটে আর খেলা হয় না তাঁর। ইডেন তাঁদের দুজনের কাছেই কার্যত হোমগ্রাউন্ড। এই মাঠের প্রতিটি ঘাস চেনেন। সকালে, দুপুরে, বিকেলে, সন্ধ্যায় এই মাঠে কী কী পরিবর্তন হয়, পরিবেশ পরিস্থিতি কেমন থাকে, তা তিনজনেরই নখদর্পণে।
গিলও পিছিয়ে নেই। কেকেআরে খেলার সুবাদে ইডেন দীর্ঘদিন তাঁরও হোমগ্রাউন্ড ছিল। ইডেনের বাইশ গজ কেমন আচরণ করবে, ভালই জানেন।
কেকেআরের বিরুদ্ধে গুজরাতের সবচেয়ে বড় তিন অস্ত্র হতে পারেন ত্রয়ী। এঁদের মধ্যে ঋদ্ধিমান ও শুভমন ইনিংস ওপেন করছেন। দলকে ঝোড়ো শুরু দেওয়ার দায়িত্ব দুজনরই। ঋদ্ধিমান শুক্রবার শুনিয়েই দিয়েছেন যে, দ্রুত রান তোলাই তাঁর অভীষ্ট। নিজের হাফসেঞ্চুরি, নাকি দলের জন্য ঝোড়ো ব্যাটিং? সাংবাদিক বৈঠকে ঋদ্ধিমান বলেছেন, 'অবশ্যই দলকে ভাল শুরু দেওয়াটা আমার প্রধান লক্ষ্য। হাফসেঞ্চুরি নয়, স্ট্রাইক রেট ভাল রেখে দ্রুত রান তুলতে চাই। তাতে যদি আমি ৩০ রান করি আর দল জেতে, তাতেই আমি খুশি।'
আরও পড়ুন: গুণের 'খনি', কিন্তু কখন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কমলা লেবু ?
শামিও বল হাতে ছন্দে। ৭ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপের দৌড়ে আছেন। গতবার গুজরাতকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করার নেপথ্যে ত্রয়ীর পারফরম্যান্স বড় ভূমিকা নিয়েছিল। তিন প্রাক্তনীকে কি শনিবার রুখতে পারবে কেকেআর?