IPL 2025: অর্শদীপের বোলিংয়ের পর শ্রেয়স, প্রভসিমরণের ব্যাটিং, লখনউকে হেলায় হারাল পাঞ্জাব কিংস
Lucknow Super Giants vs Punjab Kings: লখনউয়ের বিরুদ্ধে ২২ বল বাকি থাকতেই আট উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল পাঞ্জাব কিংস।

লখনউ: ১৭২ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন না হলেও, খুব একটা সহজও ছিল না। তবে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে দুরমুশ করে পাঞ্জাব কিংস হেসেখেলে ম্যাচ জিতে নিল। প্রমাণ করে দিল কেন তাঁদের এ মরশুমে অনেক বিশেষজ্ঞই খেতাব জয়ের বড় দাবিদার মনে করা হচ্ছে। আট উইকেটে ম্যাচ জিতল পাঞ্জাব কিংস (Lucknow Super Giants vs Punjab Kings)।
গত ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল অপরাজিত ৯৭ রান। এই ম্যাচে নিজের ধারাবাহিকতা প্রমাণ করে রানের ইনিংস খেলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। তবে এই ম্যাচে তাঁদের জয়ের নায়ক অর্শদীপ সিংহ (Arshdeep Singh) ও প্রভসিমরণ সিংহ (Prabhsimran Singh)। একজন বলে তিন উইকেট নিয়ে পাঞ্জাবের জয়ের ভিত গড়েন এবং অপরজন ৬৯ রানের ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এবারের আইপিএলে (IPL 2025) প্রথম দুই ম্যাচই জিতল কিংস।
১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করছিলেন প্রভসিমরণ। তবে গত ম্যাচে নজরকাড়া প্রিয়াংশ এদিন খুব বেশি রান করতে পারেননি। বল হাতে নিয়ে নিজের প্রথম ওভারেই তাঁকে মাত্র আট রানে সাজঘরে ফেরান দিগবেশ রাঠি। কিন্তু প্রভসিমরণ থামেননি। পাওয়ার প্লেতেই তাঁর ব্যাটিংয়ের সুবাদে ৬২ রান তুলে ফেলে পাঞ্জাব। দেখতে দেখতে ২৩ বলে দুরন্ত গতিতে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করে ফেলেন প্রভসিমরণ।
তাঁকে স্ট্রাইক দিয়ে ধীরে ধীরে পরিপক্কতার সঙ্গে নিজের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান শ্রেয়স। প্রভসিমরণ ৬৯ রানে আউট হলে এদিন সকলকে খানিকটা চমকে দিয়েই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বদলে ব্যাটে নামানো হয় নেহাল ওয়াধেরাকে। বাঁ-হাতি ব্য়াটার ম্যানেজমেন্টের তাঁর ওপর আস্থাকে সঠিক প্রমাণ করে ২৫ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল তিনটি চার ও চারটি ছক্কায়। অপরপ্রান্তে শ্রেয়সও নিজের মেজাজে ব্যাটিং করে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন তিনি, নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি।
এদিন এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে প্রথম ওভারেই মিচেল মার্শকে খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরত পাঠান অর্শদীপ। এডেন মারক্রাম বেশ ছন্দে ছিলেন। তবে তিনিও ২৮ রানে লকি ফার্গুসনের বলে প্লেড অন হন। এরপর ব্যাটে নামেন পন্থ। পরপর ব্য়র্থতার পর স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচে আইপিএলের সবথেকে দামি ক্রিকেটার কী করেন, সেই দিকে সকলের নজর ছিল। তবে তাঁর চূড়ান্ত হতাশাজনক ফর্ম অব্যাহত। ম্যাক্সওয়েলের বলে দুই রানে আউট হন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে ইনিংসের হাল ধরেন পুরান। বাদোনির সঙ্গে মিলে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। বাদোনি মূলত অ্যাঙ্কারের ভূমিকায় খেলে পুরানকে স্ট্রাইক দিয়ে যান। আর পুরান বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে চার, ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন। পাঁচটি চার ও দুইটি ছক্কা মারেন তিনি। ৪৪ রানে আউট হন তিনি। ডেভিড মিলার ১৯ রানে আউট হন। এরপরে বাদোনি ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন। আব্দুল সামাদও নেমেই বড় বড় শট মারেন। কিন্তু শেষ ওভারে অর্শদীপ দুইজনকেই সাজঘরে ফেরান। ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে মোট তিনটি সাফল্য আসে। তাঁর তৈরি করা ভিতেই জয়ের ইমারত গড়ল পাঞ্জাব।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
