IPL 2026: এক যুগের অবসান, আইপিএল নিলাম থেকে নাম তুলে নিলেন ফাফ ডুপ্লেসি, খেলবেন পিএসএলে
Faf du Plessis: আইপিএলে ১৪ বছরে মোট ১৫৪টি ম্যাচ খেলেছেন ফাফ ডুপ্লেসি।

নয়াদিল্লি: এক যুগ, গোটা এক যুগ ধরে তিনি আইপিএলের (IPL) মঞ্চ মাতিয়েছেন। জিতেছেন একাধিক আইপিএল ট্রফি। বহু স্মরণীয় ইনিংস এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। মেগা টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্বও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে আর নয়। আইপিএলের নিলাম থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন ফাফ ডুপ্লেসি (Faf du Plessis)। শেষ হল ১৪ বছরের এক স্মরণীয় আইপিএল সফর।
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের অন্য়তম প্রধান কারণ ডুপ্লেসি। হলুদ ব্রিগেডের হয়ে খেলার পাশাপাশি রাইজ়িং পুণে সুপারজায়ান্টস, দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছেন ফাফ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে অধিনায়কত্বও করেছেন। তবে ১৪ বছর পর এক নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে প্রোটিয়া মহাতারকা। সেই উদ্দেশ্যেই তিনি আইপিএল থেকে নাম তুলে নিয়ে পিএসএল খেলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নিজের স্মরণীয় আইপিএল সফরের অভিজ্ঞতা ভাগ করার পাশাপাশি কোচেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফাফ লেখেন, 'আইপিএলে ১৪ বছর খেলার পর আমি এই বছরের নিলাম থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা বিরাট সিদ্ধান্ত। এই লিগটা আমার সফরের একটা বিরাট অংশ ছিল। আমি বিশ্বমানের সতীর্থ, দুরন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং দুরন্ত সমর্থকদের সামনে খেলার সুযোগ পেয়েছি যা কল্পনাতীত। ভারতের থেকে আমি বন্ধু পেয়েছি, অনেক শিক্ষা নিয়েছি এবং স্মৃতি তৈরি করেছি যা আমায় ক্রিকেটার এবং মানুষ হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।'
তিনি আরও যোগ করেন, '১৪টা বছর অনেক লম্বা সময় এবং নিজের এই সফর নিয়ে আমি গর্বিত। ভারতের জন্য সবসময়ই আমার হৃদয়ে এক বিশেষ জায়গা থাকবে এবং এটা বিদায়বার্তা নয়, আপনারা কিন্তু আবারও আমায় দেখতে পাবেন। এই বছরে আমি নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সেই কারণে পিএসএলে খেলব।'
View this post on Instagram
আইপিএলে ১৫৪টি ম্যাচ খেলে ফাফ ৩৫.১০ গড়ে ৪৭৭৩ রান করেছেন। তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৩৫.৭৯। সর্বোচ্চ স্কোর ৯৬। গত মরশুমে দিল্লি ক্য়াপিটালসের হয়ে খেললেও তিনি তেমন নজর কাড়তে পারেননি। এবার তাই নিলামের আগে রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে ছেড়ে দেয়। ৪১ বছর বয়সি প্রোটিয়া তারকা এরপরে এই বছরের নিলাম থেকে নাম তুলে নেওয়ায় তাঁর সুদীর্ঘ আইপিএল সফরের যে যবনিকা পতন হল, তা ধরে নেওয়াই যায়।

















