IPL 2023: দলে রয়েছেন দুই গেমচেঞ্জিং অলরাউন্ডার, চলতি মরসুমে নজর কাড়তে পারেন পাঁচ মুম্বই তারকা
Mumbai Indians: আইপিএলে গত মরসুমে লিগ তালিকায় সবার নীচে শেষ করেছিল টুর্নামেন্টের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
মুম্বই: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অলরাউন্ডাররা যে কোনও দলেরই সম্পদ। আইপিএলের (IPL 2023) সফলতম দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেরও পাঁচ খেতাব জয়ের অন্যতম প্রধান কারণ হল দলের অলরাউন্ডাররা। হার্দিক পাণ্ড্য, ক্রুণাল পাণ্ড্য, কায়রন পোলার্ড দীর্ঘদিন নিজেদের অলরাউন্ড দক্ষতায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে (Mumbai Indians) একের পর এক ম্যাচ জিতিয়েছেন। পাণ্ড্য ভাইরা মুম্বই ছেড়েছেন, গত মরসুমে পোলার্ডের ব্যাট চলেনি, মুম্বইয়ের পারফরম্যান্সেও তাঁর সরাসরি প্রভাব ফেলে। লিগ তালিকায় সবার নীচে শেষ করেন পল্টনরা।
অজিদের প্রতি আস্থা
নতুন মরসুমে আবারও নতুন উদ্যমে মাঠে নামতে চলেছে মুম্বই। পোলার্ড, পাণ্ড্যদের অধ্যায় পেরিয়ে মুম্বই আবার নিজেদের দলকে ঢেলে সাজিয়েছে। ফের একবার সাফল্যের লক্ষ্যে দুই তরুণ অলরাউন্ডারই কিন্তু মুম্বইয়ের বড় ভরসা হতে চলেছেন। কারা তাঁরা? তাঁরা হলেন দুই অজি তারকা টিম ডেভিড (Tim David) ও ক্যামেরন গ্রিন (Cameron Green)।
গ্রিনকে ১৭.৫ কোটি টাকার বিরাট মূল্যে দলে নিয়েছে মুম্বই। এত বিরাট দরে অজি তারকাকে দলে নেওয়ার মধ্যে দিয়েই মুম্বই ম্যানেজমেন্ট বুঝিয়ে দিয়েছে তাঁরা গ্রিনের দক্ষতার প্রতি তাঁদের ঠিক কতটা আস্থা রয়েছে। ব্যাট হাতে তো লম্বা লম্বা ছক্কা হাঁকাতে পারেনই, পাশাপাশি ১৪০ কিমির অধিক গতিতে বল করতেও দক্ষ গ্রিন। তিনি গত ভারত সফরে বেশ প্রভাবিতও করেছিলেন। এবারই প্রথম আইপিএল খেলতে নামা গ্রিন নিজের তরুণ আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে কিন্তু বেশ প্রভাবিতই করেছেন।
জাতীয় দলের হয়ে আট ম্যাটে ১৭৩.৭৫ স্ট্রাইক রেটে গ্রিন ১৩৯ রান করেছেন, উইকেট নিয়েছেন নয়টি। অপরদিকে, টিম ডেভিড গত মরসুমে আইপিএল খেলতে নেমে ৩৭-র অধিক গড় ও ২১৬.২৮-র স্ট্রাইক রেটে ১৮৬ রান করেছিলেন। তাঁর দক্ষতার পরিচয় দেওয়ার জন্য এই পরিসংখ্যান কিন্তু যথেষ্ট। অপরদিকে, গত মরসুমে সীমিত সুযোগ পেলেও কুমার কার্তিকেয়া কিন্তু বেশ নজর কেড়েছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে কার্তিকেয়ার পারফরম্যান্স বেশ ভাল। এই স্পিনার কিন্তু বড় বড় ব্যাটারদের বেগ দিতে পারেন।
গতবার মুম্বইয়ের হতাশাজনক মরসুমে আশার আলো বলতে ছিল তরুণ তুর্কি তিলক ভার্মার (Tilak Verma) ব্যাটিং। মুম্বইয়ের হয়ে গত মরসুমে তিনিই সর্বাধিক রান করেছিলেন। ১৪ ম্যাচে ১৩১.০২ স্ট্রাইক রেটে তিনি মোট ৩৯৭ রান করেছিলেন। মুম্বইয়ের টপ অর্ডারের বড় ভরসা হতে পারেন তিনি। সবার শেষে যার নাম না বললেই নয়, তিনি হলেন জোফ্রা আর্চার (Jofra Archer)। গত মরসুমে তাঁকে আট কোটি টাকায় দলে নিলেও চোটের কারণে খেলতে পারেননি ইংল্যান্ড তারকা। তবে এ মরসুমে তিনি মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত।
গেমচেঞ্জার আর্চার
ইংল্যান্ডের তারকা ফাস্ট বোলার আর্চার বল হাতে নিজের গতির আগুনে প্রতিপক্ষ ব্যাটিং লাইনআপকে ছারখার করে দিতে পারেন। এ মরসুমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে যশপ্রীত বুমরা নেই, তাই আর্চারের কাঁধে বাড়তি দায়িত্ব থাকবে। আর্চার আইপিএলে ৩৫ ম্যাচ খেলে ইতিমধ্যেই ৪৬ উইকেট নিয়ে ফেলেছেন। তাঁর বোলিং গড় মাত্র ২১.৩৩, ইকোনমি ৭.১৩। বল হাতে তো বটেই আর্চার লোয়ার অর্ডারে ব্য়াট হাতেও কিন্তু আর্চার বেশ কার্যকরী হয়ে উঠতে পারেন। ব্যাট হাতে আইপিএলে আর্চারের ১৫৭.১৬ স্ট্রাইক রেট তাঁর ব্যাটিং দক্ষতারই পরিচয়বাহক। এই তারকারা যদি নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেন, তাহলে কিন্তু মুম্বই সমর্থকরা আসন্ন মরসুম নিয়ে আশায় বুক বাঁধতেই পারেন।
আরও পড়ুন: ৪১-এও রেকর্ড গড়ার হাতছানি মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সামনে