Super Cup Derby: গোল পেলেন ইউস্তে, ক্লেটন, প্রথমার্ধ শেষে ডার্বির স্কোরলাইন ১-১
Mohun Bagan vs East Bengal: এই নিয়ে তৃতীয়বার সাক্ষাৎ চলতি মরশুমে। এদিনের খেলায় প্রথমার্ধে ৩ মিনিটের মাথায় প্রথমে সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। লাল হলুদের জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন আর্মান্দো সাদিকু।
ভুবনেশ্বর: কলিঙ্গ সুপার কাপের প্রথমার্ধের খেলা ১-১ ব্যবধানে শেষ হল। চলতি মরশুমের প্রথম দুটো ডার্বিতে দুটো দলই একবার করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। ডুরান্ড কাপে দুবারের মুখোমুখি মহারণে প্রথমবার ইস্টবেঙ্গল ও পরের বার ফাইনালে মোহনবাগান জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। এই নিয়ে তৃতীয়বার সাক্ষাৎ চলতি মরশুমে। এদিনের খেলায় প্রথমার্ধে ৩ মিনিটের মাথায় প্রথমে সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। লাল হলুদের জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন আর্মান্দো সাদিকু। লাল হলুদের ডিফেন্সের জটলার মাঝেই ফাঁকতালে বল জালে জড়িয়ে দেন সাদিকু। কিন্তু রেফারি অফ সাইড ঘোষণা করে দেন।
এরপর খেলার ৮ মিনিটের মাথায় কর্নার পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটন সিলভার দুর্বল ব্যাকহিল থেকে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার গোলমুখ খুলতে পারলেন না। অভিষেক বল ক্লিয়ার করে দিলে লাল হলুদ কর্নার পায়। খেলার ১৩ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় সবুজ মেরুন। ১৬ মিনিটের মাথায় নাসিরি চেষ্টা করেছিলেন গোল করার। কিন্তু গোল পাননি। এরপর ১৯ মিনিটের মাথায় গোল করলেন হেক্টর ইউস্তে। দিমিত্রি পেত্রাতসের কর্নার কিক থেকে অসাধারণ ফ্লিকে বল লাল হলুদের জালে জড়ান ইউস্তে। ২৪ মিনিটের মাথায় ক্লেটন সিলভার গোলে সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। ৩৩ মিনিটের মাথায় সৌভিক চক্রবর্তীকে ফাউল গ্লেন মার্টিন্সের। হলুদ কার্ড দেখলেন মোহনবাগানের খেলোয়াড়। ৩৮ মিনিটের মাথায় হুগৌ বুমোসকে ফাউল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখলেন ক্রেসপো। প্রথমার্ধের শেষে পেনাল্টি পেয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হন পেনাল্টি ফস্কে দিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।
কলিঙ্গ সুপার কাপ (Kalinga Super Cup) সেমিফাইনালে উঠবে কারা, মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (MBSG) না ইস্টবেঙ্গল এফসি (EBFC), তার ফয়সালা হয়ে যাবে শুক্রবার সন্ধ্যায় এই দুই দলেরই দ্বৈরথে।
তবে মোহনবাগানের সামনে যেমন জয় ছাড়া শেষ চারে যাওয়ার আর কোনও রাস্তা নেই, ইস্টবেঙ্গলের সামনে এই ম্যাচ ড্র করেও শেষ চারে যাওয়ার রাস্তা খোলা আছে।
সুপার কাপ লিগ টেবলে দুই দলেরই পয়েন্ট সংখ্যা সমান (৬)। দুই দলের গোলপার্থক্যও সমান (২)। তফাৎ শুধু একটা জায়গাতেই এবং তা গোলসংখ্যায়।
ইস্টবেঙ্গল যেখানে পাঁচ গোল দিয়ে তিন গোল খেয়েছে, সেখানে মোহনবাগান চার গোল দিয়ে দুই গোল খেয়েছে। একটি গোল বেশি দেওয়ার কারণেই শুক্রবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এক ধাপ এগিয়ে থেকে নামছে লাল-হলুদ শিবির।
শুক্রবার হার-জিতের ফয়সালা হলে জয়ী দল বেশি পয়েন্ট পেয়ে স্বাভাবিক নিয়মেই শেষ চারে পৌঁছে যাবে। কিন্তু ম্যাচ ড্র হলে গোলসংখ্যায় এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালের ছাড়পত্র পেয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গলই।