Shivani Soam: বাবা-মা দিনমজুর, লংজাম্পে দ্যুতি ছড়িয়ে অলিম্পিক্সে মেডেলের স্বপ্নে বিভোর শিভানি
Shivani Soam Inspirational Story: কোনও কিছুতেই পিছপা হননি। ২০১৮ সালে রোহতকে আয়োজিত ৩০ তম নর্থ জোন জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জেতেন শিভানি।
নয়াদিল্লি: পরিবারের আর্থিক অবস্থা একদমই ভাল ছিল না। কিন্তু স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি তিনি। লড়াই করাও বন্ধ করে দেননি। বরং প্রতিদিন জেদ বেড়ে গিয়েছিল নিজেকে প্রমাণ করার। উত্তরপ্রদেশের ছোট্ট গ্রাম থেকে উঠে আস, এরপরই দিল্লিতে লং জাম্পে রেকর্ড গড়ে সবার নজরে এসে গিয়েছিলেন শিভানি সোয়াম। কিন্তু এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে এক কঠিন লড়াইয়ের গল্প। কী সেই গল্প?
শিভানির বেড়ে ওঠা থেকে ট্র্যাকে পা রাখা
মোরাদাবাদ জেলার এক ছোট্ট গ্রামে জন্ম শিভানির। ছোট থেকেই খেলাধূলোর প্রতি আগ্রহ ছিল। ছেলেদের সঙ্গেই খেলতেন মাঠে। সেই সময় গ্রামের মানুষের নানারকম টিটকিরিও শুনতে হয়েছে। কিন্তু তাতে পিছপা হননি। ২০১৮ সালে রোহতকে আয়োজিত ৩০ তম নর্থ জোন জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জেতেন শিভানি। যদিও সেই পদক জয়ের পরই নিজের পরিবারের আর্থিক অসচ্ছ্বলতার কথা তুলে ধরেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ''আমার কাছে কোনও কিছুই সহজ ছিল না। আমার বাবা-মা দিনমজুরের কাজ করেন। কোভিডের প্রথম দিকে আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপতর হয়ে গিয়েছিল আমাদের। দিল্লি থেকে গ্রামে ফিরে এসেছিলাম সে সময়। সেখানে প্রতিদিন সকালে আমি অনুশীলনে যেতাম। গ্রামে সবসময়ই আমাকে টোন-টিটকিরি শুনতে হত। কিন্তু এতে জেদ বেড়ে গিয়েছিল আমার। সবাইকে জবাব দিতে চেয়েছিলাম।''
খেলা ছাড়তে চেয়েছিলেন শিভানি
শুধুই কি সামাজিক প্রতিকূলতা! লকডাউনের সময় শিভানির বাবা-মায়ের কোনও কাজ ছিল না। সেই সময় আর্থিক অভাবের কথা চিন্তা করে এক সময় খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন এই তরুণী। কিন্তু সিদ্ধান্ত বদল করেন। শিভানি জানিয়েছেন, ''লকডাউনের সময় বাবা-মা কাজ পাচ্ছিলেন না। সেই সময় চিন্তা বেড়ে গিয়েছিল সবার। কিন্তু আমি অনুশীলনটা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতেই ফের সবাই দিল্লি ফিরে যাই। আর দিল্লি আসার পর ধীরে ধীরে আমাদের পরিস্থিতিও বদলাতে থাকে। সব কিছু সাধারণ হতে থাকে।
লক্ষ্য অলিম্পিক্সে পদক
দিল্লিতে আয়োজিত ২০১৯ সালে ৫.৩১ মিটার লংজাম্পে রেকর্ড গড়েছেন। তবে অলিম্পিক্সে মেডেল জেতাই শিভানির একমাত্র লক্ষ্য। সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে ২০ বছরের এই তরুণী বলছেন, ''যে কোনও অ্যাথলিটের কাছেই অলিম্পিক্সে পদক জেতাটা স্বপ্নের মতো। কিন্তু তার আগে আমি এশিয়ান গেমসে পদক জিততে চাই। এই মুহূর্তে অনুশীলন ভাল চলছে। আরও কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। তা হয়ে গেলে আমি আশাবাদী যে এশিয়ান গেমসের জন্য় যোগ্যতা অর্জন করতে পারব। সেখানে ভাল পারফর্ম করাই আমার প্রাথমিক লক্ষ্য এখন।''