AUS Vs NED, Innings Highlights: ম্যাক্সওয়েল, ওয়ার্নারের ঝোড়ো সেঞ্চুরি, নেদারল্যান্ডসের সামনে ৪০০ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা
AUS Vs NED: এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার।
নয়াদিল্লি: প্রথম দুটো ম্যাচে হার। আর তারপর থেকে দুরন্ত কামব্য়াক করেছে অস্ট্রেলিয়া (Australia Cricket Team)। তবে মিডল অর্ডারের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা ছিল। কিন্তু নেদারল্য়ান্ডসের (Netherlands) বিরুদ্ধে ম্য়াচে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ব্যাটিং অর্ডার জ্বলে উঠল। সেঞ্চুরি হাঁকালেন ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অর্ধশতরান হাঁকালেন মিডল অর্ডারের ২ স্তম্ভ স্টিভ স্মিথ (Steve Smith) ও মার্নাস লাবুশেন (Marnus Labuchange)। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেট ৩৯৯ রান বোর্ডে তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। মার্শ এদিন ভাল শুরু করেও ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে ওয়ার্নার এদিন ফের শতরান হাঁকান। চলতি বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। ওয়ার্নার ৯৩ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে। ৩টি ছক্কা হাঁকান। মার্শ ফিরে গেলে স্মিথ ও লাবুশেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ওয়ার্নার। স্মিথ গোটা টুর্নামেন্টে সেভাবে রান পাননি। তবে এদিন ৬৮ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। অন্যদিকে লাবুশেন ৪৭ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। ৭টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে। তবে এরপর বাকিটা ছিল পুরোটাই ম্যাড-ম্যাক্স ঝড়।
২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও ব্রায়ান ৫০ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন বিশ্বকাপের মঞ্চে। গত ১২ বছর ধরে এটিই ছিল বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম শতরান। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৫১ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। সেটি ছিল দ্বিতীয় স্থানে। চলতি বছর বিশ্বকাপের মঞ্চে ব্রায়ানের রেকর্ড ভেঙে দেন এইডেন মারক্রাম। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে এই ফিরোজ শাহ কোটলার মাঠেই ৪৯ বলে ঝোড়ো সেঞ্চুরি করেছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটার। এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে ফেললেন ম্যাক্সওয়েল। এদিন ম্যাক্সওয়েল যখন আউট হলেন তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৪৪ বলে ১০৬ রান। নিজের ইনিংসে ৮টি ছক্কা ও ৯টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন অজি অলরাউন্ডার।
এদিন এই ইনিংস খেলার সঙ্গে সঙ্গেই আরও কয়েকটি রেকর্ড গড়লেন ম্যাক্সওয়েল। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে সর্বাধিক ছক্কা হাঁকিয়েছেন রিকি পন্টিং। তাঁর ঝুলিতে ১৫৯ টি ওভার বাউন্ডারি। তালিকায় ১৪৮টি ছক্কার সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে গিলক্রিস্ট। এবার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর ঝুলিতে এখন ১৩৮টি ছক্কা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সপ্তম উইকেটে সর্বাধিক রানের পার্টনারশিপ গড়লেন ম্যাক্সওয়েল-কামিন্স। এদিন জুটি বেঁধে ১০৩ রান করেছেন তাঁরা।