Kuldeep Yadav: ম্যাজিক ডেলিভারিতে বাটলারকে বোল্ড করে হই চই ফেলে দিলেন কুলদীপ, বিশ্বকাপের সেরা বল?
Ind vs Eng: ইংল্যান্ড ইনিংসের ১৬তম ওভারের ঘটনা। ওভার দ্য উইকেট বল করতে এলেন কুলদীপ। ওভারের প্রথম বলটি পড়ল অফস্টাম্পের এক হাত বাইরে। ডানহাতি বাটলার বুঝতেই পারেননি, বলটি চায়নাম্যান স্পিনের বিষমাখানো।
লখনউ: কানপুর থেকে লখনউয়ের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। ন্যাশানল হাইওয়ে ২৭ ধরে পৌঁছতে সময় লাগে ঘণ্টা আড়াই।
কানপুরের ক্রিকেটার কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav) এক সময় দলে উপেক্ষিত থাকতে থাকতে এতই হতোদ্যম হয়ে পড়েছিলেন যে, আত্মহননের কথাও ভেবেছিলেন। ব্যক্তিগত কোচ কপিল পাণ্ডে (Kapil Pandey) তাঁকে সেই সময় আগলে রাখেন। এক সময় পেসার হতে চাওয়া কুলদীপের মধ্যে বিরল প্রতিভার সন্ধান পেয়ে যিনি চায়নাম্যান স্পিনার করে তুলেছিলেন। সেই কপিলই নতুন করে উৎসাহের অক্সিজেন ভরে দেন উঠতি ক্রিকেটারের মনে।
রবিবার রাতে ভারতীয় তো বটেই, গোটা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে হচ্ছে, ভাগ্যিস সেদিন কুলদীপকে আগলেছিলেন কপিল। তা না হলে এরকম জাদু ডেলিভারি দেখা থেকেই বঞ্চিত থেকে যেত ক্রিকেটবিশ্ব। যে ডেলিভারিতে জস বাটলারকে বোল্ড করলেন বাঁহাতি স্পিনার। বোল্ড করলেন? না না, ভুল লেখা হল। সম্মোহিত করে ফেললেন ইংরেজ অধিনায়ককে। এমনই সেই মন্ত্রমুগ্ধতার রেশ যে, নড়াচড়াই করতে পারলেন না বাটলার। আইপিএলে সফল ব্যাটার কার্যত আত্মসমর্পণ করলেন ঘূর্ণির ফাঁদে।
যে বলকে বিশ্বকাপের (ODI World Cup) সেরা ডেলিভারি বলা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ তৈরি হয়ে গিয়েছে। ডিজিটাল যুগে বলা হচ্ছে, ট্রেন্ডিং...
লখনউয়ের একানা স্পোর্টস সিটিতে ভারত যখন প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২২৯/৯ স্কোরে আটকে গেল, ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা আঁতকে উঠেছিলেন। বিশ্বকাপে অপরাজিত তকমা কি তবে যোগীরাজ্যেই ঘুচে যাবে ভারতের? তবে ইংল্যান্ডের পেসার ক্রিস ওকস খুব একটা নিশ্চিন্ত হতে পারেননি। দুই ইনিংসের বিরতিতে ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বলছিলেন, 'উইকেটে দু'রকম গতি। কোনও বল থমকে আসছে, কোনওটা জোরে।'
ওকসের আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হল ম্যাচে। স্বল্প রানের পুঁজি নিয়ে ইংরেজ শিবিরকে আতঙ্ক উপহার দিলেন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিরা। তবু টক অফ দ্য টাউন হয়ে রইল কুলদীপের ঘূর্ণিতে বাটলারের বোল্ড হওয়ার দৃশ্য।
ঘটনাটি ইংল্যান্ড ইনিংসের ১৬তম ওভারের। ওভার দ্য উইকেট বল করতে এলেন কুলদীপ। তাঁর ওভারের প্রথম বলটি পড়ল অফস্টাম্পের এক হাত বাইরে। ডানহাতি বাটলার বুঝতেই পারেননি যে, বলটি চায়নাম্যান স্পিনের বিষমাখানো। অর্থাৎ, বাঁহাতি স্পিনারের বল যেরকম পিচে পড়ে ডানহাতি ব্যাটারের বাইরের দিকে যায়, এটি তা নয়। ব্যাতিক্রমী। বল পড়ে চকিতে ভেতরের দিকে ঢুকে এল। প্রায় এক হাত ঘুরে ভেঙে দিল অফ ও মিডল স্টাম্প। হতভম্ব বাটলার ব্যাকফুটে গিয়ে বুঝলেন, এ বল খেলা যায় না। এ বলে ব্যাটারদেরও দর্শকের ভূমিকা নিতে হয়। যেন আহ্বান জানাতে হয়, এসো, সমর্পণ গ্রহণ করো। বাটলারও যেন তাই করলেন। উইকেট নিয়ে কুলদীপ ভাসলেন আবেগে।
Frame kro lo…
— Sparsh Mittal (@SparshM00273039) October 29, 2023
What a ball by Kuldeep Yadav.
Buttler cleaned up.#kuldeep #KuldeepYadav #RohitSharma𓃵 #sky #INDvsENG #ICCMensCricketWorldCup2023 pic.twitter.com/DhJ6Obszb1
তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালিখি শুরু হয়ে গেল, এটিই চলতি বিশ্বকাপের সেরা ডেলিভারি। বলটির ভিডিও-ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ঝড়ের গতিতে শেয়ার হতে থাকল।
আর কুলদীপ হয়তো ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। তিনি যে প্রমাণ করতে পেরেছেন, ফর্ম ইজ় টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ় পার্মানেন্ট।
আরও পড়ুন: ইডেনে কমলা ঝড়, বাংলাদেশের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে মন জিতল নেদারল্যান্ডস
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন