New Zealand Cricket Team: বিশ্বকাপ জিতে কি নিউজ়িল্যান্ডের সোনালি প্রজন্মের ইতি? ভাগ্য আর ট্রফির খোঁজে ব্ল্যাক ক্যাপস
ODI World Cup: ২০১৯ থেকে ২০২৩ - মাঝে কেটে গিয়েছে ৪ বছর। এর মাঝে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে নিউজ়িল্যান্ড। ২০২১ ও ২০২২ - পরপর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছে।
অকল্যান্ড: কেউ কেউ বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। পরিসংখ্যান দেখলে যে দাবি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ২০০৭ সাল থেকে প্রত্যেকটি ওয়ান ডে বিশ্বকাপের অন্তত সেমিফাইনালে পৌঁছেছে নিউজ়িল্যান্ড (New Zealand)। গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট। ইংল্যান্ডের কাছে সুপার ওভার থ্রিলারে হারতে হয়েছিল কেন উইলিয়ামসনদের (Kane Williamson)। অনেকে মনে করেন, ইংল্যান্ড বনাম নিউজ়িল্যান্ড সেই ফাইনালই পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা ম্যাচ।
ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপেও কি কিউয়িদের ধারাবাহিকতার ছবি দেখা যাবে? ২০১৯ থেকে ২০২৩ - মাঝে কেটে গিয়েছে ৪ বছর। এর মাঝে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে নিউজ়িল্যান্ড। ২০২১ ও ২০২২ - পরপর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছে।
সাম্প্রতিক ফর্ম
ভারতের মাটিতে পা রাখার আগে পকেটে সাফল্য আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে এসেছেন কিউয়িরা। কারণ, বাংলাদেশকে বাংলাদেশের মাটিতে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে ওয়ান ডে সিরিজ জিতেছে নিউজ়িল্যান্ড। উপমহাদেশের মাটিতে যে সাফল্য আত্মবিশ্বাস বাড়াবে ব্ল্য়াক ক্যাপসদের। তবে ২০২৩ সালটা ওয়ান ডে ক্রিকেটে ভাল কাটছে নিউজ়িল্যান্ডের। চলতি বছরে ২০টি ওয়ান ডে-র মধ্যে মাত্র ৮টি জিতেছে নিউজ়িল্যান্ড। সেই ২০টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৩টিতে খেলেছেন দলের সেরা ব্যাটার কেন উইলিয়ামসন। মাত্র ৫টি ম্যাচে খেলেছেন দলের সেরা বোলার ট্রেন্ট বোল্ট।
শক্তি
নিউজ়িল্যান্ডের সবচেয়ে বড় অস্ত্র দলের অভিজ্ঞতা। ১৫ সদস্যের মধ্যে বেশিরভাগই দীর্ঘদিন ধরে বড় মঞ্চে খেলছেন। চোট সারিয়ে ফিরেছেন দলের সেরা ব্যাটার তথা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই রান পেয়েছেন। টিম সাউদিও আঙুলে অস্ত্রোপচারের পর দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। বোলিং আক্রমণে প্রচুর বৈচিত্র। যেখানে সাউদির মতো অভিজ্ঞ পেসারের পাশাপাশি রয়েছে ট্রেন্ট বোল্টের মতো বহু যুদ্ধের সেনাপতি বাঁহাতি মিডিয়াম পেসার। সঙ্গে লকি ফার্গুসনের মতো ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করা ফাস্টবোলার। একজন লেগস্পিনার। তিনজন ফিঙ্গার স্পিনার।
দুর্বলতা
দলের গড় বয়স বেশি। ১৫ জন ক্রিকেটারের মধ্যে ১২ জনের বয়স তিরিশ পেরিয়েছে। বাকি তিনজনের মধ্যে একজনের বয়স ২৯। অনেকেই হয়তো তাঁদের শেষ বিশ্বকাপ খেলছেন। নিউজ়িল্যান্ড ক্রিকেটের সোনালি প্রজন্মের তিন তারকা - উইলিয়ামসন, সাউদি ও বোল্ট কেরিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে। স্পিনের বিরুদ্ধে ব্যাটিং চিন্তার কারণ হতে পারে। কোনওদিন বিশ্বকাপ জেতেনি নিউজ়িল্যান্ড। বারবার বড় ম্যাচে হারতে হয়েছে। কখনও স্নায়ুর চাপ সামলানোর ব্যর্থতা, তো কখনও কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাগ্য।
চমক দিতে তৈরি
গ্লেন ফিলিপ্স। অনেকে বলেন, স্টিভ স্মিথের মতো ব্যাটিং করেন। অনেকে বলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো। ৩৬০ ডিগ্রি শট নিতে পারেন। অর্থাৎ, এ বি ডিভিলিয়ার্স বা সূর্যকুমার যাদবের মতো উইকেটের চারধারে শট খেলতে পারেন। পাকিস্তানের মাটিতে নিউজ়িল্যান্ডের ওয়ান ডে সিরিজ জয়ের কাণ্ডারি। ২০০৮ সালের পর সেটাই ছিল উপমহাদেশে নিউজ়িল্যান্ডের প্রথম কোনও ওয়ান ডে সিরিজ জয়। অফস্পিন বোলিংও করেন। সব মিলিয়ে প্যাকেজ।
গেমচেঞ্জার
উপমহাদেশের ক্রিকেট মানেই টপ অর্ডার ব্য়াটিংয়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ম্যাচের ভাগ্য। আর শুরুর দিকে ভাল ইনিংস খেলে দলের হাল ধরায় সিদ্ধহস্ত ডেভন কনওয়ে। বাঁহাতি হওয়ায় স্পিনারদের বিরুদ্ধে সাবলীল। প্রত্যেক পাঁচ ইনিংসে একটি করে সেঞ্চুরি করেছেন।
বিশ্বকাপের দল: কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ট্রেন্ট বোল্ট, মার্ক চাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, টম ল্যাথাম (উইকেটকিপার), ডারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপ্স, রচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, টিম সাউদি ও উইল ইয়ং।
বিশ্বকাপে নিউজ়িল্যান্ডের সূচি:
- বনাম ইংল্যান্ড, আমদাবাদ, ৫ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, দুপুর ২
- বনাম নেদারল্যান্ডস, হায়দরাবাদ, ৯ অক্টোবর, সোমবার, দুপুর ২
- বনাম বাংলাদেশ, চেন্নাই, ১৩ অক্টোবর, শুক্রবার, দুপুর ২
- বনাম আফগানিস্তান, চেন্নাই, ১৮ অক্টোবর, বুধবার, দুপুর ২
- বনাম ভারত, ধর্মশালা, ২২ অক্টোবর, রবিবার, দুপুর ২
- বনাম অস্ট্রেলিয়া, ধর্মশালা, ২৮ অক্টোবর, শনিবার, সকাল ১০.৩০
- বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, পুণে, ১ নভেম্বর, বুধবার, দুপুর ২
- বনাম পাকিস্তান, বেঙ্গালুরু, ৪ নভেম্বর, শনিবার, সকাল ১০.৩০
- বনাম শ্রীলঙ্কা, বেঙ্গালুরু, ৯ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, দুপুর ২
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: স্পিনারদের হাতে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ ভাগ্য, তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলতে পারবেন রশিদরা?