Mamata Banerjee on Vinesh Phogat: 'যে মেয়েটা সোনা আনতে পারত...' বিনেশের অলিম্পিক্স পদক হাতছাড়ায় বঞ্চনা-তত্ত্ব, মমতার নিশানায় কে?
Mamata Banerjee: ঝাড়গ্রামের তিরন্দাজি অ্যাকাডেমি থেকে ভবিষ্যতের অলিম্পিয়ান উঠে আসবে বলে আশাবাদী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
ঝাড়গ্রাম: হতে পারতেন ভারতের প্রথম অলিম্পিক্স সোনাজয়ী মহিলা কুস্তিগীর। কিন্তু প্যারিস (Paris Olympics 2024) একেবারে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে তাঁকে। ফাইনালের দিন সকালে ওজন পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় বিনেশ ফোগতকে (Vinesh Phogat) গোটা প্রতিযোগিতা থেকে বাতিল করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী সবার নীচে শেষ করবেন ভারতীয় কুস্তিগীর। এই গোটা বিষয়ে বঞ্চনা-তত্ত্ব আনলেন মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর নিশানায় কী কারা?
অলিম্পিক্সের ফাইনালের দিন সকালে মাত্র ১০০ গ্রাম বাড়তি ওজনের জন্য বাতিল করা হয় বিনেশকে। জয়ের আশা পরিণত হয় হতাশা, গ্লানিতে। এতটাই ভেঙে পড়েন বিনেশ যে তিনি কুস্তি থেকে অবসরের কথাও ঘোষণা করে দেন। এর আগে বিনেশ পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তারকা কুস্তিগীরের সমর্থনে গুরুগ্রামে ব়্যালি বের করে আম আদমি পার্টিও। এবার বিনেশের কথা শোনা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গলাতেও। বিনেশের পদক হাতছাড়া হওয়ার প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
৯ অগাস্ট ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবস উদযাপনে পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁর বক্তব্যে বিনেশ ফোগতের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তিনি বলেন, 'আমি ব্যথিত, যে মেয়েটা সোনা আনতে পারত, তাঁকে কীভাবে বঞ্চিত করা হল সেটা আগামীদিনে দেশবাসী জানবে। তবে তাকে অনেক অভিনন্দন।' মমতার নিশানায় কে? অনেকেই মনে করছেন তিনি এই বক্তব্যের মাধ্যমে শাসকদল বিজেপির দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। কারণ, বিনেশ কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের অন্যতম মুখ। ব্রিজভূষণ কেন্দ্রের শাসক দলের বাহুবলী সাংসদও বটে। সেই কারণেই বিনেশের এই স্বপ্নভঙ্গে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। প্রাক্তন অলিম্পিক্স পদকজয়ী বিজেন্দ্র সিংহও কিন্তু এঁদের মধ্যে একজন।
বিনেশের বাতিল প্রসঙ্গে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি মমতা বন্দোপাধ্যায় ভবিষ্য়তের কথাও তুলে ধরেন। তিনি আশাবাদী যে ঝাড়গ্রাম গড়ে ওঠা তিরন্দাজি অ্যাকাডেমিতে ভবিষ্যতের অলিম্পিয়ানরা উঠে আসবেন যারা দেশকে সাফল্য এনে দেবেন। 'আমি বিশ্বাস করি এই ঝাড়গ্রাম অ্যাকাডেমিতে থেকে আমাদের রাজ্যের মেয়েরা একদিনে অলিম্পিক্সে যাবে। তারা অলিম্পিক্সে জিতবেও। এই উদ্দেশ্যেই আমরা এই অ্যাকাডেমিগুলি তৈরি করেছি। আমি ১৯৯১-৯২ সালে যখন যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের দায়িত্বে ছিলাম, তখন বিভিন্ন জায়গায় অ্যাকাডেমি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিলাম। যাতে পরবর্তীতে ভারতীয় খেলোয়াড়রা সাফল্য অর্জন করতে পারে।' দাবি তৃণমূল সুপ্রিমোর।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: ৫২ বছর পর নাগাড়ে দুই অলিম্পিক্সে পদক জয়, শ্রীজেশদের জন্য বিরাট আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা