Bhuvneshwar Kumar: যেন রোলস রয়েস! ৬ বছর পর লাল বলের ক্রিকেটে ফিরে তাণ্ডব ভুবনেশ্বরের
Ranji Trophy: তিনি শেষবার লাল বলের ক্রিকেটে খেলেছেন ২০১৮ সালে। ৬ বছর আগে। ভারতীয় দলের জার্সিতে। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই টেস্টে ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন।
![Bhuvneshwar Kumar: যেন রোলস রয়েস! ৬ বছর পর লাল বলের ক্রিকেটে ফিরে তাণ্ডব ভুবনেশ্বরের Ranji Trophy: Bhuvneshwar Kumar took 5 wickets against Bengal in comeback match in red ball cricket Bhuvneshwar Kumar: যেন রোলস রয়েস! ৬ বছর পর লাল বলের ক্রিকেটে ফিরে তাণ্ডব ভুবনেশ্বরের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/01/12/3bba07f8642ac352ce0dd67c9bbbc09b170506962797050_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: তিনি শেষবার লাল বলের ক্রিকেটে খেলেছেন ২০১৮ সালে। ৬ বছর আগে। ভারতীয় দলের জার্সিতে। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই টেস্টে ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন।
দীর্ঘ ৬ বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফিরলেন ভুবনেশ্বর কুমার (Bhuvneshwar Kumar)। আর ফিরেই বল হাতে ঘাতক হয়ে উঠলেন। রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) বাংলার বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম দিনই নিলেন ৫ উইকেট। দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৯৫/৫। ৫টি উইকেটই ভুবির। কানপুরের গ্রিন পার্কে ভুবনেশ্বরের যে বোলিং দেখে মুগ্ধ প্রতিপক্ষ শিবিরও। বাংলার কোচ সৌরাশিস লাহিড়ি বলে দিচ্ছেন, রোলস রয়েসের মতো লেগেছে ভুবিকে। পুরনো মুখ। কিন্তু তাকিয়ে থাকতে হয়। মন্ত্রমুগ্ধের মতো।
প্রথম দিনে উত্তর প্রদেশের প্রথম ইনিংস মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ২৮ ওভার ব্যাট করেছে বাংলা। তার মধ্যে ভুবনেশ্বরই করেছেন ১৩ ওভার। বোলিং পরিসংখ্যান ঈর্ষণীয়। ১৩-৩-২৫-৫। অর্থাৎ, ১৩ ওভারে মাত্র ২৫ রান খরচ করে ৫ উইকেট নিয়েছেন। বাংলার যে ৫ উইকেট নিয়েছেন ভুবি, সেখানে রয়েছেন মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদারের মতো বড় নামও। ভুবির দাপট কেমন ছিল, আর একটা পরিসংখ্যান থেকেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। উত্তর প্রদেশের বাকি তিন বোলার ১৫ ওভার বল করে কোনও উইকেট পাননি।
ভুবনেশ্বরের স্যুইং সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছেন বাংলার ব্যাটাররা। কেমন দেখলেন ভুবির বোলিং? কানপুর থেকে মোবাইল ফোনে বাংলার কোচ সৌরাশিস লাহিড়ি এবিপি লাইভকে বললেন, 'ও পুরো রোলস রয়েস। অসাধারণ বোলিং করেছে। প্রতিপক্ষ শিবিরের ডাগ আউটে বসেও মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। ভুবি দেখিয়ে দিল ও কোন মানের বোলার। এতদিন পর লাল বলের ক্রিকেটে খেলছে বুঝতেই দিল না। এত নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেংথ।'
তবে বাংলার বোলারদেরও প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৌরাশিস। যেভাবে উত্তর প্রদেশের ব্যাটিংকে মাত্র ৬০ রানে মুড়িয়ে দিয়েছেন বাংলার পেসাররা, তাতে উচ্ছ্বসিত কোচ। তাও এমন একটা পরিস্থিতিতে, যেখানে মুকেশ কুমার, আকাশ দীপের মতো প্রথম দলের দুই পেসারকে পায়নি বাংলা।
বাইশ গজের সঙ্গে মাঠকে আলাদা করা যাচ্ছিল না, এতটাই সবুজ উইকেট। আর সেই পিচে ভেল্কি দেখালেন বাংলার পেসাররা। উত্তর প্রদেশ ইনিংস শেষ মাত্র ২০.৫ ওভারে। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬০ রান তুলে। সর্বোচ্চ স্কোর? ওপেনার সমর্থ সিংহের ১৩ রান। এছাড়া দুই অঙ্কের রান পেয়েছেন আর মাত্র দুই ক্রিকেটার। ওপেনার আরিয়ান জুয়াল করেছেন ১১ রান। অধিনায়ক নীতীশ রানাও করেছেন ১১। বাংলার বোলারদের মধ্যে সেরা মহম্মদ কাইফ। যিনি ভারতের তারকা পেসার মহম্মদ শামির ভাই। ৫.৫ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচ করে নিলেন ৪ উইকেট। এই ম্যাচে রঞ্জি অভিষেক হল সূরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের। যে খবর বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিল এবিপি লাইভ বাংলা। অভিষেকের মঞ্চেই বল হাতে নিজের প্রতিভার পরিচয় দিলেন সূরজ। ৮ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচ করে নিলেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট ঈশান পোড়েলের।
সৌরাশিস বলছেন, 'সূরজ হোক বা কাইফ, দীর্ঘদিন ধরে ওদের সঙ্গে কাজ করছি। আমি বরাবরই ওদের কথা বলে আসছি। জানতাম, সুযোগ পেলে কাজে লাগাবে। বিজয় হাজারে ট্রফিতেও ভাল বোলিং করেছে কাইফ। সেই ছন্দই ধরে রাখল।'
আরও পড়ুন: গ্রিন পার্কে পেসারদের শাসন, উত্তর প্রদেশ শেষ ৬০ রানে, ভুবির ধাক্কায় বাংলাও অস্বস্তিতে
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)