BCCI Domestic: গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে রঞ্জি সেমিফাইনালে বাংলা দলে পরিবর্তনের ইঙ্গিত
Ranji Trophy Semifinal: রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের আগে টিম কম্বিনেশন নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে বসেছেন বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল (Laxmiratan Shukla), অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিরা (Manoj Tiwary)।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: প্রতিপক্ষ রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) গতবারের চ্যাম্পিয়ন। দলের কোচের নাম চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। যাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেটের কিংবদন্তি কোচ বলা হয়। আগামী আইপিএলে (IPL) কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) কোচ হিসাবে যাঁকে দেখা যাবে। তার ওপর আবার মধ্যপ্রদেশ ঘরোয়া ক্রিকেটে সাম্প্রতিককালে বাংলার সবচেয়ে বড় গাঁট।
রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের আগে তাই টিম কম্বিনেশন নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে বসেছেন বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল (Laxmiratan Shukla), অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিরা (Manoj Tiwary)।
অন্ধ্রপ্রদেশ জিতলে হোম ম্যাচ পেত বাংলা। সেক্ষেত্রে ইডেনেই হতো সেমিফাইনাল। রঞ্জি ট্রফির এবারের ফর্ম্যাট অনুযায়ী, গ্রুপ পর্বে যে দল বেশি পয়েন্ট পেয়েছে, তাদের মাঠেই হবে নক আউট ম্যাচ। অন্ধ্রপ্রদেশের চেয়ে বাংলার পয়েন্ট বেশি ছিল। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ জেতায় সেই সম্ভাবনা ভেস্তে যায়। মধ্যপ্রদেশের পয়েন্ট গ্রুপ পর্বে বেশি থাকায় ইনদওরে বাংলার সেমিফাইনাল ম্যাচ পড়ল।
ইনদওরে কোয়ার্টার ফাইনালে অন্ধ্রপ্রদেশকে হারিয়েছে মধ্যপ্রদেশ। তবে সেই ম্যাচ পেস বোলিং সহায়ক উইকেটে খেলেছে মধ্যপ্রদেশ। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতদের কৌশলই ছিল, জোরে বোলিং সহায়ক পিচে আবেশ খানের পেসে বিপক্ষকে ঘায়েল করার। যে পরিকল্পনায় সফল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। বোর্ডের নিয়মে এখন ঘরের মাঠে খেলা হলেও নিজেদের কিউরেটর পায় না কোনও দল। নিরপেক্ষ কিউরেটর পিচ তৈরি করেন। তবু সেই কিউরেটর যে ঘরের দলকে কোনও সুবিধাই দেবেন না, এমন কথা হলফ করে বলা যায় না বলেই ধারণা বাংলা শিবিরের।
এবং বাংলা শিবির সূত্রে খবর, ইনদওরে বাংলাকে পেস বোলিং সহায়ক পিচ নাও দেওয়া হতে পারে। কারণ, মধ্যপ্রদেশের হাতে আবেশ খান থাকলে বাংলার হাতে রয়েছে মুকেশ কুমার, আকাশ দীপ ও ঈশান পোড়েলের পেস ত্রয়ী। বাংলার পেস বোলিং আক্রমণকে এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে দেশের সেরা বলছেন কেউ কেউ। বাংলা শিবির মনে করছে, তাদের বিরুদ্ধে পেস বোলিং সহায়ক পিচে খেলবে না মধ্যপ্রদেশ। বরং স্পিন বোলিং সহায়ক পিচে খেলতে হতে পারে ধরে নিয়েই অঙ্ক কষছে বাংলা।
সেক্ষেত্রে ফের বাংলার ওপেনিং জুটিতে বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছেন কেউ কেউ। বাংলা শিবিরের নির্যাস, শাহবাজ আমেদের সঙ্গে দ্বিতীয় স্পিনার হিসাবে খেলানো হতে পারে কর্ণ লালকে। কর্ণ ইনিংস ওপেনও করেছেন বাংলার হয়ে। তাঁকে খেলালে বিকল্প বাড়বে দলের। তিনি খেললে বাদ পড়তে পারেন কাজি জুনেইদ সইফি। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসেই রান পাননি যিনি।
তিন পেসার-দুই স্পিনার ছকে এগতে পারে বাংলা।
আরও পড়ুন: রঞ্জি সেমিফাইনালের আগে জোড়া দুশ্চিন্তা বাংলা শিবিরে