BCCI President: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিসিআইয়ের মসনদে, কে এই রজার বিনি?
Roger Binny: প্রাক্তন ভারতীয় এই অলরাউন্ডারের পরিচয় দিতে গেলে প্রথমেই তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের প্রসঙ্গ উঠে আসবে। সেই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন বিনি।
মুম্বই: আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও হয়নি। কিন্তু গতকালই খবরে মোটামুটি সিলমোহর পড়ে গিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে। তাঁর বদলে তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য রজার বিনি মসনদে বসতে চলেছেন। রাজীব শুক্ল গতকালই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ই বিসিসিআই সভাপতি হতে চলেছেন বিনি। আগামী ১৮ অক্টোবরই বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে সরকারিভাবে নির্বাচিত হতে চলেছেন কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি।
কে এই রজার বিনি?
প্রাক্তন ভারতীয় এই অলরাউন্ডারের পরিচয় দিতে গেলে প্রথমেই তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের প্রসঙ্গ উঠে আসবে। সেই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন বিনি। সেবার মোট ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন টুর্নামেন্টে রজার। ৬৭ বছরের এই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের পুরো নাম রজার মাইকেল হামফ্রে বিনি। ১৯৫৫ সালের ৯ জুন ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণ করেন রজার। ব্যাঙ্গালোরের কেএসসিএ স্টেডিয়ামে ১৯৭৯ সালে টেস্টে অভিষেক হয় রজারের। প্রথম অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার হিসেবে ভারতীয় দলে খেলেন রজার। ছোটবেলার বন্ধুর বোন সিন্থিয়াকে বিয়ে করেছিলেন রজার। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। লরা, লিজি ও স্টুয়ার্ট। এর মধ্যে স্টুয়ার্ট বিনি নিজেও ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। রজার নিজে মোট ২৭ টেস্টে ১৫৩৪ রান করেছেন। ৪৭ উইকেট নিয়েছেন। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে ৭২ ম্যাচে ২২৬০ রান করেছেন। ঝুলিতে পুরেছেন ৭৭ উইকেট। নিয়ন্ত্রিত সুইং ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটার হিসেবে যথেষ্ট সুনাম ছিল রজারের।
আগে শোনা যাচ্ছিল, বিসিসিআই সভাপতির বদলে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধি হিসাবে আইসিসির চেয়ারম্যান পদে লড়াই করতে পারেন সৌরভ। তবে স্লগ ওভারে যেমন মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে, তেমনই ভারতীয় বোর্ডের রাজনীতও যে শেষবেলায় অনেক বড় রদবদল ঘটে যায়, তা বোর্ডের বিষয়ে অবগত কারও অজানা নয়। কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে, সৌরভ নয়, বরং আইসিসির চেয়ারম্যান পদে ভারতের প্রতিনিধি হতে পারেন জয় শাহ (Jay Shah)। তবে বোর্ডের একাংশের দাবি, আপাতত সচিব হিসাবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নিজের মেয়াদ সম্পূর্ণ করবেন জয়। তারপর ভারতীয় ক্রিকেটের প্রশাসন থেকে তাঁকে তিন বছরের জন্য বাধ্যতামুলক কুলিং অফে যেতে হবে। সেই সময় আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য ঝাঁপাতে পারেন অমিত শাহ-পুত্র।
আরও পড়ুন: ফল নিয়ে বেশি ভাবি না, নিজের কাজটা করে যেতে চাই: কুলদীপ