Virat Kohli Birthday: বিরাট একাই নন, নিজেদের জন্মদিনে ২২ গজে শতরানের মালিক হয়েছেন এঁনারাও
ICC World Cup 2023: তালিকায় রয়েছেন বিনোদ কাম্বলি। ভারতের প্রাক্তন এই ক্রিকেটার ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়পুরে নিজের ২১ তম জন্মদিনে শতরান হাঁকিয়েছিলেন।
কলকাতা: নিজের ৩৫ তম জন্মদিনে সেঞ্চুরি হাঁকালেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নেমেছিলেন কিং কোহলি রবিবার। এদিনই ছিল বিরাটের জন্মদিন। আর বিশেষ দিনে খেললেন ম্যাচ জেতানো এক শতরানের ইনিংস। তবে বিরাট একাই নয়। নিজের জন্মদিনে শতরানের ইনিংস খেলেছেন আরও বেশ কয়েকজন বিখ্যাত ক্রিকেটার। কারা কারা আছেন এই তালিকায়। দেখে নেওয়া যাক।
তালিকায় রয়েছেন বিনোদ কাম্বলি। ভারতের প্রাক্তন এই ক্রিকেটার ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়পুরে নিজের ২১ তম জন্মদিনে শতরান হাঁকিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করার সঙ্গে সঙ্গে সচিন তেন্ডুলকরের ৪৯ তম ওয়ান ডে শতরানের নজিরও ছুঁয়েছেন কোহলি। সেই সচিন নিজেও তাঁর জন্মদিনে শতরান করেছিলেন। ১৯৯৮ সালে নিজের ২৫ বছর বয়সে শারজাতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। ২০০৮ সালে ৩৯ তম জন্মদিনে ভারতের বিরুদ্ধে সনৎ জয়সূর্য ১৩০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ২০১১ সালে নিজের ২৭ বছর বয়সে ২২ গজে শতরান হাঁকিয়েছিলেন রস টেলর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৩১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন প্রাক্তন কিউয়ি তারকা।
টম ল্যাথাম অপরাজিত ১৪০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ২০২২ সালে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে এই শতরান করেছিলেন ৩০ বছরের জন্মদিনে। মিচেল মার্শ ২০২৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন নিজের ৩২ তম জন্মদিনে। ১২১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় বিরাটের পাশাপাশি বিশ্বকাপের মঞ্চে জন্মদিনে শতরান এসেছে মার্শ ও টেলরের।
মাস্টার ব্লাস্টারের রেকর্ড স্পর্শ করে উচ্ছ্বসিত চেজ়মাস্টার। ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার (Ind vs SA) বিরুদ্ধে ১২১ বলে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংসকে হয়তো কেরিয়ারের অন্যতম সেরা হিসাবে চিহ্নিত করে রাখবেন বিরাট কোহলিও। সে যতই দলের সেমিফাইনালের টিকিট কনফার্মড হয়ে যাক না কেন। এই ইডেন তো অজানা ইডেন। বল পড়ে থমকে আসছে। কোনও কোনও বল নীচু হচ্ছে। কোনও বল লাফাচ্ছে।
আর সেই পিচে সাধক-সম একাগ্রতা দেখিয়ে সেঞ্চুরি কোহলির। ৪৯ সেঞ্চুরি করে স্পর্শ করলেন সচিন তেন্ডুলকরের ওয়ান ডে কীর্তিও। ভারতীয় ইনিংস শেষ হওয়ার পর কোহলি বলেছেন, 'এই পিচে ব্যাট করা সহজ নয়। রোহিত আর শুভমন আমাদের শুরুটা দারুণ করে দেয়। আমার কাজ ছিল শুধু সেই ছন্দ ধরে রাখা। ১০ ওভারের পর থেকেই বল ঘুরতে শুরু করেছিল। বল পড়ে মন্থর গতিতে আসছিল। আমার লক্ষ্য ছিল যতক্ষণ সম্ভব ব্যাটিং করে যাওয়া। পার্টনারশিপ তৈরি করা। দল থেকেও সেই বার্তা আমাকে পাঠানো হয়েছিল। শ্রেয়স দারুণ ব্যাট করেছে আর শেষের দিকে কিছু রান বাড়তি পেয়েছি।'