মুম্বই: সরব হয়েছিলেন মনোজ তিওয়ারি। বাংলার অধিনায়ক এবং রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) খেলে ক্রিকেটকে বিদায় জানানো তারকা তোপ দেগেছিলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না অনেক ক্রিকেটার। আইপিএল (IPL 2024) খেলার জন্যই সকলে মুখিয়ে থাকেন শুধু। পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও (BCCI) এ ব্যাপারে কড়া অবস্থান নেয়। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, জাতীয় শিবিরে না থাকলে প্রত্যেক ফিট ক্রিকেটারকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে হবে। রঞ্জি ট্রফির মতো ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে না খেললে বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে, এমন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। এমনকী, রাঁচিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পর রোহিত শর্মাও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। জানান, দেখলেই বোঝা যায় কারা টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চান আর কারা চান না। জোর করে খেলিয়ে কী লাভ, সেই প্রশ্নও তোলেন হিটম্যান।
এরপরেই কি নড়েচড়ে বসলেন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)? যে ক'জন ক্রিকেটারকে ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছিল, তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুম্বইয়ের তারকা। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরেও যিনি মুম্বইয়ের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছিলেন না। রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দেখা যায়নি শ্রেয়সকে। তবে সেমিফাইনালের জন্য মুম্বই দলে অন্তর্ভুক্ত হলেন তিনি। শনিবার থেকে মুম্বইয়ের শরদ পওয়ার ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে নামছে ৪১ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
নবাগত সূর্যাংশ শেডগের জায়গায় দলে এলেন শ্রেয়স। কোয়ার্টার ফাইনালের দুই ইনিংসেই উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসার অভিযোগ উঠেছিল শেডগের বিরুদ্ধে। প্রাক্তন ভারতীয় পেসার রাজু কুলকার্নির নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি মুম্বইয়ের সেমিফাইনালের দলে শ্রেয়সকে ফিরিয়ে নিয়েছে।
এর আগে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ফিট নন বলে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন শ্রেয়স। যদিও বলাবলি শুরু হয়েছিল, আইপিএলকে পাখির চোখ করেই কি নিজেকে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে দূরে রাখছেন শ্রেয়স? আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়র তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের মাঝপথে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। রঞ্জি ট্রফিতে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে ফের জাতীয় দলে ঢোকার দাবি জানাবেন শ্রেয়স, এমনই ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু তিনি মুম্বই দলে যোগ দেননি।
যদিও সেমিফাইনালে মুম্বইয়ের ভরসা হয়ে উঠতে পারেন শ্রেয়স।
মুম্বইয়ের সেমিফাইনালের দল: অজিঙ্ক রাহানে (অধিনায়ক), পৃথ্বী শ, ভূপেন লালওয়ানি, মুশীর খান, শ্রেয়স আইয়ার, হার্দিক তামোরে (উইকেটকিপার), শামস মুলানি, তনুষ কোটিয়ান, শার্দুল ঠাকুর, তুষার দেশপাণ্ডে, মোহিত অবস্থি, অমোঘ ভাটকর, প্রসাদ পওয়ার (উইকেটকিপার), আদিত্য ধুমল, রয়স্টন ডিয়াস ও ধবল কুলকার্নি।
আরও পড়ুন: এই প্রাণায়মে ১০ মিনিটেই দূর হবে সারাদিনের ক্লান্তি, শিখে নিলেন সৌরভও