Glenn Phillips: মাঠে সুপারম্যান! ফিলিপসের ফিল্ডিং দেখে বাকরুদ্ধ ক্রিকেটবিশ্ব, বিশ্বকাপের সেরা ক্যাচ?
Aus vs NZ: কার্যত অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুললেন গ্লেন ফিলিপস (Glenn Phillips)। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডকে কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্তব্ধ করে দিল তাঁর অবিশ্বাস্য ফিল্ডিং।
সিডনি: ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলে উঠলেন, সুপারম্যান! মার্কাস স্টোইনিসও (Marcus Stoinis) যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, এ-ও সম্ভব।
কার্যত অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুললেন গ্লেন ফিলিপস (Glenn Phillips)। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডকে কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্তব্ধ করে দিল তাঁর অবিশ্বাস্য ফিল্ডিং। আলোচনা শুরু হয়ে গেল, এটাই কি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ক্যাচ?
অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের নবম ওভারের ঘটনা। নিউজিল্যান্ডের পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে তখন তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট করছিলেন মার্কাস স্টোইনিস। অলরাউন্ডার স্টোইনিস যে ব্যাট হাতে কতটা বিপজ্জনক হতে পারেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচিত সকলেই তা জানেন। বল করছিলেন মিচেল স্যান্টনার। বাঁহাতি স্পিনারের বল কভারের ওপর দিয়ে ওড়াতে গিয়েছিলেন স্টোইনিস। ডিপ কভারে ফিল্ডিং করছিলেন ফিলিপস। তিনি ডানদিকে দৌড় শুরু করেন। বল তাঁর নাগালের বাইরে দিয়ে মাটিতে পড়ছে দেখে তিনি দুহাত সামনের দিকে মেলে শূন্যে শরীর ভাসিয়ে দেন। এবং বল মাটিতে পড়ার আগেই তা তালুবন্দি করেন। গোটা স্টেডিয়াম তখন মন্ত্রমুগ্ধ। বলাবলি শুরু হয়, সুপারম্যান কি ক্রিকেট মাঠে নেমে পড়েছে?
Glenn Phillips is an unbelievable fielder. pic.twitter.com/RQ3USCMyJc
— Mufaddal Vohra (@mufaddal_vohra) October 22, 2022
স্টোইনিস ফেরার ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত ১১১ রানে অল আউট হয়ে যায় অজিরা। গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই হারল। যে ম্যাচে আলোচনা চলল ফিলিপসের ক্যাচ নিয়ে।
বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সুপার ১২-র প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত করল গত বারের রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড (AUS vs NZ)। নিউজিল্যান্ডের ২০০ রানের জবাবে মাত্র ১১১ রানেই অল আউট হয়ে গেল অজিরা। নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের নায়ক ডেভন কনওয়ে ও টিম সাউদি।নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে অনবদ্য ৯২ রানের ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে (Devon Conway)। বল হাতে সাউদি মাত্র ছয় রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নেন।
শুরু থেকেই কিউয়ি দাপট
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে অনবদ্য ৯২ রানের ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে। বল হাতে সাউদি ও মিচেল স্যান্টনার তিনটি করে উইকেট নেন। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। কিন্তু বোলাররা অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মর্যাদা রাখতে পারলেন না। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন কিউয়িদের ডানহাতি ওপেনার ফিন অ্যালেন। মার্টিন গাপ্তিলের বদলে তাঁকে খেলানো হয়েছিল প্রথম একাদশে। সেই সুযোগের একেবার সদ্বব্য়বহার করলেন অ্যালেন। নিজের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
১৬ বলে ঝোড়ো ৪২ রানের ইনিংস খেলেন ফিন অ্যালেন। ডেভন কনওয়ে অন্যদিকে ৫৮ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি ও ২টাে ছক্কা হাঁকান। অপরাজিত থেকে যান তিনি। কেন উইলিয়ামসন ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। অন্য়দিকে জিমি নিশাম ২টো ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন। তিন উইকেটে ২০০ রান তোলে কিউয়িরা।
নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ১১১ রানেই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সাউদি তিন, স্যান্টনার তিন ও ট্রেন্ট বোল্ট দুইটি উইকেট নেন।