T20 World Cup: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ক্রিকেটারকেই ভারতের এক্স ফ্যাক্টর বাছলেন ইরফান পাঠান
T20 World Cup: ভারতও তাঁদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। আগামী ২৪ তারিখ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু ভারতের।
দুবাই: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা বেজে গিয়েছে। সব দলগুলোই তাঁদের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা শুরু করে দিয়েছে। ভারতও তাঁদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। আগামী ২৪ তারিখ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু ভারতের। টুর্নামেন্টে এবার ভারতের এক্স ফ্যাক্টর হতে পারেন জসপ্রীত বুমরা। এমনটাই মনে করেন ইরফান পাঠান।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের অন্যান্য বোলাররা প্রচুর রান খরচ করলেও বুমরা রান দেননি সেভাবে। ৪ ওভারে মাত্র ২৬ দিয়ে ১ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি প্রতিপক্ষের। পাঠান বলেন, 'বরুণ চক্রবর্তীকে নিয়ে আমরা সবাই আশাবাদী। ওঁ দারুণ বল করছে। ওঁর মিস্ট্রি স্পিন খেলতে সমস্যায় পড়ছে সব ব্যাটাররাই। কিন্তু যদি ভারতের এক্স ফ্যাক্টর বাছতে হয়, আমি বাছব জসপ্রীত বুমরাকে। ওঁর মতো এত বড় মাপের এক্স ফ্যাক্টর অন্য কোনও দলেই নেই।'
উইকেটের নিরিখে অবশ্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন মহম্মদ শামি। ৪ ওভারে ৪০ রান খরচ করলেও ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। অন্যদিকে ১টি করে উইকেট নেন রাহুল চাহার ও জসপ্রীত বুমরা। তবে নিজের ৪ ওভারে ৫৪ রান খরচ করলেও কোনও উইকেট পাননি ভুবনেশ্বর কুমার। বুমরা একমাত্র যার বলের সামনে কিছুটা অস্বস্থিতে ছিলেন ইংরেজ ব্যাটাররা।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। দল হিসাবে একটা ছন্দ তৈরি করতে চাই, টস জিতে বললেন বিরাট। ইংল্যান্ডের ২ ওপেনারকেই ফেরান মহম্মদ শামি। এদিন মর্গ্যান খেলেননি। তাঁর বদলে ইংল্যান্ডের নেতৃত্বের ব্যাটন ছিল বাটলারের কাঁধে। যদিও ব্যাট হাতে রান পাননি বাটলার। তিনি ১৮ রান করে আউট হন। ডেভিড মালান ও লিয়াম লিভিংস্টোনও বেশি রান করতে পারেননি। তবে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে রান তোলার গতি বাড়িয়ে দেন জনি বেয়ারস্টো ও মঈন আলি। প্রথম জন ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন। তবে ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার মঈন আলি ছিলেন আরও বিধ্বংসী মেজাজে। তিনি লোয়ার অর্ডারে ক্যামিও ইনিংস খেলেন। মাত্র ২০ বলে ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো পেল্লাই ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড বোর্ডেও বড় রান তুলে নেয়। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করে তারা। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে যায় ভারত।