Teacher's Day 2021 Special: মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন কোচ, শিক্ষক দিবসে উদ্বিগ্ন তিরন্দাজ দীপিকা কুমারী
Deepika Kumari Exclisive: রবিবার শিক্ষক দিবস। অথচ প্রিয় শিক্ষককে ফোন করে প্রণামও জানাতে পারেননি দীপিকা কুমারী। বরং রয়েছে চাপা উদ্বেগ।
কলকাতা: মন ভাল নেই দীপিকা কুমারীর (Deepika Kumari)। রবিবার শিক্ষক দিবস। অথচ প্রিয় শিক্ষককে ফোন করে প্রণামও জানাতে পারেননি। বরং রয়েছে চাপা উদ্বেগ। কারণ, যাঁর হাত ধরে তিরন্দাজির বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, দীপিকার ছোটবেলার সেই কোচ ধর্মেন্দ্র তিওয়ারি (Dharmendra Tiwary) হাসপাতালে ভর্তি। লড়াই করছেন মৃত্যুর সঙ্গে।
"অন্যান্য বছর সরাসরি যেতে না পারলেও অন্তত ফোন করে ধর্মেন্দ্র স্যারকে প্রণাম জানাই। ওঁর আশীর্বাদ নিই। কিন্তু স্যার ভীষণ অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ওঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাই খুব দুশ্চিন্তায় আছি," এবিপি লাইভকে বলছিলেন দীপিকা। টোকিও অলিম্পিক্সে পদক না পেলেও যিনি দেশকে গর্ব করার মতো মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন।
টোকিও থেকে ফিরে আপাতত কয়েকদিনের ছুটি। দীপিকা রয়েছেন কলকাতায়। বাইপাসের ধারে শ্বশুরবাড়িতে। স্বামী অতনু দাসও টোকিওতে তিরন্দাজিতে লড়াই করেও অল্পের জন্য পদক জিততে পারেননি। দীপিকা বলছেন, "কোচেরা তো বাবা-মায়ের মতোই হয়। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জীবনে কোচের ভূমিকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।" যোগ করলেন, "কোচ না থাকলে আমি কেরিয়ারে এত দূর আসতেও পারতাম না। উনি অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি। প্রত্যেক বছরের মতো এবারের শিক্ষক দিবসে স্যারকে ফোন করে প্রণাম জানাতে পারিনি। শুধু প্রার্থনা করব, যেন উনি দ্রুত সেরে ওঠেন।"
জামশেদপুরে ধর্মেন্দ্র তিওয়ারির কাছে যখন তিরন্দাজিতে হাতেখড়ি হয়েছিল, দীপিকার বয়স তখন মাত্র ১৪ বছর। সেই থেকেই ছাত্রীর কেরিয়ারকেই নিজের স্বপ্নে পরিণত করে ফেলেছিলেন ধর্মেন্দ্র। দীপিকা বলছেন, "২০০৮ সালে স্যারের কাছে প্রথম গিয়েছিলাম। উনি আমার মেন্টর। মা-বাবাকে ছেড়ে অ্যাকাডেমিতে যাই। কোচই মা-বাবা হয়ে যান। প্রচুর উৎসাহ দিতেন। সাফল্য-ব্যর্থতায় পাশে থাকতেন। সবরকমভাবে সাহায্য করতেন। আমার মা-বাবাকে ছেড়ে থাকার কষ্ট ভুলিয়ে দিয়েছিলেন স্যার। কোনও সিদ্ধান্ত ঠিক হোক বা ভুল, সাহায্য করেছেন, পাশে থেকেছেন। ওঁর আরও একটা দিককে আমি শ্রদ্ধা করি। স্যার ব্যক্তিগত জীবনে কখনও প্রবেশ করেন না।"
ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে অনেক ভাল মুহূর্ত কাটিয়েছেন। শিক্ষক দিবসে কোনও বিশেষ ঘটনা মনে পড়ছে? দীপিকা বলছেন, "বিশ্ব তিরন্দাজিতে পদক জিতে ফেরার পর স্যার ডেকে পাঠিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছো। ভাল। এবার ভুলে যাও। সামনে কঠিন পথ। আরও অনেক পদক জেতা বাকি। খেয়াল রেখো যেন আত্মতুষ্টি না আসে। অনেকেই কিন্তু এই সাফল্যে ভেসে যায়। সেদিন উপলব্ধি করেছিলাম কোচের ভূমিকাটা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। স্যার ছিলেন বলেই আমি বিশ্বের এক নম্বর তিরন্দাজ হতে পেরেছি।"