এক্সপ্লোর
Advertisement
১৯৯৩ সালে হিরো কাপ সেমিফাইনালে ভারতের জয়ের পিছনে নেউল? দেখুন, কী বললেন সচিন
কলকাতা: কলকাতায় এসে ১৯৯৩ সালের হিরো কাপ সেমিফাইনালের স্মৃতিচারণায় মেতে উঠলেন সচিন তেন্ডুলকর। তিনি বলেছেন, সেই ম্যাচে ভারতের পক্ষে পয়মন্ত হয়ে দেখা দিয়েছিল একটি নেউল। ভারত যখন বোলিং করছিল, তখন নেউলটি আসতেই উইকেট পড়ছিল। শেষপর্যন্ত স্মরণীয় জয় পেয়েছিল ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি সচিন। তিনি মাত্র ১৫ রান করেন। অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন (৯০) ও প্রবীণ আমরে (৪৮) লড়াই করেন। এছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যান দু অঙ্কের রান করতে পারেননি। ভারত ১৯৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। ভারতের বোলারদের লড়াই সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ রান। সেই ওভারে বল করার জন্য সচিনকে ডাকেন আজহার। কামাল করেন সচিন। ভারত ২ রানে ম্যাচ জিতে যায়।
এতদিন পরেও সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ উঠতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সচিন। তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি না কতজন লক্ষ্য করেছিলেন, তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে একটি নেউল মাঝেমধ্যে আসছিল। সে আসার পরেই আমরা কয়েকটা উইকেট পাই। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকা রান বাড়ায়। ফের নেউলটি আসতেই আমরা আবার উইকেট পাই। তাই আমি চাইছিলাম, নেউলটি বারবার আসুক।’
কলকাতার মানুষের সমর্থন প্রসঙ্গে সচিন বলেছেন, ‘আমরা রসিকতা করে বলতাম, কলকাতায় খেলা হলে দুটি উইকেট নিতে হবে। তারপর দর্শকরাই বাকি আটটি উইকেট নিয়ে নেবেন। হিরো কাপ সেমিফাইনালই ছিল প্রথম দিন-রাতের ম্যাচ। সেই ম্যাচের অভিজ্ঞতা সারা জীবন মনে থাকবে। কলকাতার সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর ওদের বিরুদ্ধে এখানে খেলেছিলাম। সেই ম্যাচ উপলক্ষে যখন দু দল বিমানবন্দরে নেমেছিল, তখন থেকেই মানুষ আমাদের অভ্যর্থনা জানানো শুরু করেছিল। হোটেলে যাওয়ার পথে রাস্তায় মানুষ আমাদের জন্য দাঁড়িয়েছিল। পরে আমি দক্ষিণ আফ্রিকার সেই দলের অধিনায়ক ক্লাইভ রাইসের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি এখনও সেই সিরিজের কথা মনে রেখেছেন।’
খেলার (Sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
জেলার
আইপিএল
জেলার
Advertisement