Tokyo Olympics 2020: অলিম্পিক পদক ধরার অনুভূতিটা কেমন তা শব্দে বোঝাতে পারব না, ট্যুইটে আবেগপ্রবণ সিন্ধু
সেমিফাইনালে পরাজয়ের পরই তিনি জানিয়েছিলেন যে, ব্রোঞ্জ জয়ের ম্যাচে নিজের সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপাবেন। সেই কথা রেখেছেন সিন্ধু।
টোকিও : গড়েছেন ইতিহাস। টোকিও অলিম্পিক্সে পদক জয়ের পর থেকেই ভাসছেন শুভেচ্ছার বন্যায়। এবার প্রত্যেক শুভাকাঙ্খীকে ধন্যবাদ জানালেন সুশীল কুমারের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে অলিম্পিকে দ্বিতীয় পদক জয়ী ভারতীয় খেলোয়াড় তথা শাটলার পিভি সিন্ধু।
ট্যুইটারে সিন্ধু লিখেছেন, আপনাদের শুভেচ্ছা ও শব্দে আমি অভিভূত। আপনাদের শুভেচ্ছা নিয়েই আমি এগিয়ে গেছি। আমার কাছে এর অর্থ গোটা পৃথিবী। যেমনটা দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে জেতা এই পদকটাও আমার কাছে পৃথিবী।
টোকিও অলিম্পিক্সের কথা লিখতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা। তিনি লিখেছেন, টোকিও অলিম্পিক্স আমার কাছে এমন একটা অভিজ্ঞতা যা কখনও ভুলব না। পাঁচ বছর ধরে নিজেকে প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে পদকের পোডিয়ামে ওঠা পর্যন্ত...প্রত্যেকটা মুহূর্ত চিরকাল আমার সঙ্গে থেকে যাবে। অলিম্পিক পদক ধরার অনুভূতির কথা আমি বর্ণনা করতে পারব না। এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো।
এর পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, আজ আমি যেখানে আছি সেটা শুধু আমার একা যাত্রা নয়। আমি সেইসব মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ, যাঁরা সবসময় আমার পাশে থেকেছেন। যাঁরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন আপনাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ। আরও একটা কথা বলতে চাই, এই পথচলা এখানেই শেষ হচ্ছে না।
রিও অলিম্পিক্সে রুপোজয়ী সিন্ধু এবারও অলিম্পিক্সের শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন। তবে সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ায় তাঁর সোনা বা রুপোর পদক জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছিল। রবিবার ছিল ব্রোঞ্জের ম্যাচ। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই সেমিফাইনালের পরাজিতরা। হে বিং জিয়াওয়ের বিরুদ্ধে সিন্ধু প্রথম গেম জিতে নেন মাত্র ২৩ মিনিটে। ২১-১৩ ব্যবধানে। দ্বিতীয় গেমে চিনা প্রতিপক্ষ কিছুটা লড়াই করলেও শেষরক্ষা হয়নি। দ্বিতীয় গেমও জিতে নেন সিন্ধু। দ্বিতীয় গেমের ব্যবধান সিন্ধুর পক্ষে ২১-১৫।
সোনা বা রুপোর পদক জয়ের স্বপ্ন ছিল না। কিন্তু তা বলে ব্য়াডমিন্টনে ভারতের পদক জয়ের সব সম্ভাবনা যে শেষ হয়ে যায়নি, বরং ব্রোঞ্জ জয়ের ভাল সুযোগ রয়েছে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং সিন্ধু। সেমিফাইনালে পরাজয়ের পরই তিনি জানিয়েছিলেন যে, ব্রোঞ্জ জয়ের ম্যাচে নিজের সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপাবেন। সেই কথা রেখেছেন সিন্ধু।