UEFA Champions League: গত ২০ বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথমবার দেখা মিলবে না রোনাল্ডো-মেসির
UEFA Champions League draw: এদিকে যে ড্র ঘোষণা হয়ে গেল, সেখানে সবচেয়ে কঠিন গ্রুপে পড়েছে নিউক্যাসেল ইউনাইটেড। গ্রুপ এফ-এ তাদের সঙ্গে রয়েছে পিএসজি, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও এসি মিলান।
নিয়ন: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (UEFA Champions League) ড্র আয়োজিত হয়ে গেল। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে গত ২০ বছরে এই প্রথমবার রোনাল্ডো ও মেসিকে ছাড়াই আয়োজিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ২ জনেই বর্তমানে ইউরোপের ক্লাবগুলোর বাইরে খেলেন। রোনাল্ডো এশিয়ার সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরের হয়ে খেলেন বর্তমানে। অন্য়দিকে আমেরিকার ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০০৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথমবার খেলতে নেমেছিলেন রোনাল্ডো। এরপর থেকে গত মরসুম পর্যন্ত খেলেছিলেন। অন্যদিকে মেসি ২০০৫ সালে প্রথমবার খেলেছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ। তিনিও বিশ্বকাপের পরই আমেরিকার ক্লাবে যোগ দিয়েছেন পিএসজি ছেড়ে এসে। মেসি, রোনাল্ডো ছাড়াও এই তালিকায় আছেন নেমার, বেঞ্জেমা, জর্ডি আলবা, সের্জিও বুস্কেটসের মত তারকারা।
এদিকে যে ড্র ঘোষণা হয়ে গেল, সেখানে সবচেয়ে কঠিন গ্রুপে পড়েছে নিউক্যাসেল ইউনাইটেড। গ্রুপ এফ-এ তাদের সঙ্গে রয়েছে পিএসজি, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও এসি মিলান। এদিকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড রয়েছে গ্রুপ-এ তে। সেই গ্রুপে রয়েছে কোপেনহেগেন ও গালাতাসারে। গ্রুপ সি-তে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও নাপোলি। গ্রুপ ডি-তে রয়েছে বেনফিকা, ইন্টার মিলান ও রিয়াল সোসিদাদ। গ্রুপ এইচে বার্সেলোনা রয়েছে এফসি পোর্তোর সঙ্গে।
উয়েফার বর্ষসেরা হালান্ড
ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরস্কার। উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন আর্লিং হালান্ড (Erling Haaland)। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির (Manchester United) জার্সিতে রেকর্ড সংখ্যক গোল করেছেন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার। ৫৩ ম্যাচ খেলে মোট ৫২ গোল করেছেন হালান্ড। এক মরসুমে যা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে যে কোনও ফুটবলারের করা সর্বাধিক গোল। গত মরসুমে ম্যান সিটি 'ট্রেবল' জিতেছিল। অর্থাৎ এফ এ কাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও প্রিমিয়ার লিগ। এই তিনটি টুর্নামেন্টে পেপ গুয়ার্দিওয়ালার দলের জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল হালান্ডের। ২৩ বছরের তরুণ এই ফুটবলার সেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার পাওয়ার জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন। তবে সেই পুরস্কার পান বুকায়ো সাকা। এই পুরস্কার পাওয়ার পর হালান্ড বলেন, "এটি জিততে পারা আমার জন্য সম্মানের। প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছ থেকে স্বীকৃতি পাওয়া দারুণ ব্যাপার এবং আমাকে যারা ভোট দিয়েছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। ব্যক্তিগত এবং দলীয়ভাবে মরসুমটা অবিস্মরণীয় ছিল। ট্রেবল জিতব, কখনও ভাবিনি।''
এফ এ কাপ ও প্রিমিয়ার লিগে হালান্ডই ছিলেন সর্বাধিক গোলস্কোরার। এফএ কাপে মোট ১২টি গোল করেছিলেন নরওয়ের এই তরুণ স্ট্রাইকার। অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগে মোট ৩৬টি গোল করেছিলেন তিনি। বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন কেভিন ডি ব্রুইন ও লিওনেল মেসিও। কিন্তু এই দুজনকে টেক্কা দিয়ে পুরস্কার জিতে নেন হালান্ড।