Kohli on Fitness: কোহলির সাফল্যের চাবিকাঠি কী? কেন একাকিত্ব গ্রাস করেছিল?
ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার মার্ক নিকোলাসের ‘নট জাস্ট ক্রিকেট’ পডকাস্ট-এ নিজের এমন অজানা কাহিনিই জানিয়েছেন বিরাট।
আমদাবাদ: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে তাঁর দল। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে দুরমুশ করে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ভারত। ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টের আগে শরীরচর্চায় নিজেকে মগ্ন রেখেছেন কোহলি। এবং তিনি জানিয়ে দিচ্ছেন, ধারাবাহিকতাই চাবিকাঠি।
শুক্রবার তাঁর শরীরচর্চার তিনটি ছবি শেয়ার করেছেন কোহলি। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ওয়েট লিফটিং করছেন কোহলি। সঙ্গে আরও কিছু শারীরিক কসরত। কোহলির সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। কোহলি তাঁর ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে লেখেন, ‘ধারাবাহিকতাই চাবিকাঠি।’
২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আমদাবাদের নবনির্মিত মোতেরা স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলবে ভারত। তার আগে প্রস্তুতিতে খামতি রাখতে চাইছেন না ভারত অধিনায়ক। ফিটনেস ট্রেনিংয়ে বরাবরের মতোই জোর দিচ্ছেন তিনি।
শুক্রবারই একটি সাক্ষাৎকারে কোহলি জানিয়েছেন, কীভাবে তিনি ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে অন্ধকারে ডুবে ছিলেন। সেই সফরে ব্যাট হাতে পরপর ব্যর্থ হচ্ছিলেন বিরাট। কোনও কিছুই যেন ঠিক করে হচ্ছিল না। সেই সময়েই নিজেকে কোহলি মনে করতেন বিশ্বের সবথেকে একাকিত্বে ভোগা ব্যক্তি! ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার মার্ক নিকোলাসের ‘নট জাস্ট ক্রিকেট’ পডকাস্ট-এ নিজের এমন অজানা কাহিনিই জানিয়েছেন বিরাট। মানসিক অবসাদের শিকার কখনও হয়েছিলেন কি না, সেই প্রশ্নে কোহলি বলেন, 'হ্যাঁ, সেই সময় নিজেকে পৃথিবীর সবথেকে একা ব্যক্তি বলে মনে হতো। ঘুম থেকে ওঠার পর মনে হতো রান করতে পারব না। যা একেবারেই ভালো অনুভূতি নয়। তবে সমস্ত ব্যাটসম্যানই কখনও না কখনও এমন অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। যখন তাঁদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আর কিছুই থাকে না।'
২০১৪ সালে কোহলি অত্যন্ত খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। সেবারের ইংল্যান্ড সফরে তাঁর ব্যাটে রানের খরা চলছিল। ওই সফরে পাঁচ টেস্টে কোহলির স্কোর ছিল যথাক্রমে ১, ৮, ২৫, ০, ৩৯, ২৮, ০, ৭, ৬ এবং ২০ রান। পরের অস্ট্রেলিয়া সফরেই অবশ্য রানে ফেরেন বিরাট। ঘুরেও দাঁড়ান স্বমহিমায়।