(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Layoff: ছাঁটাইয়ের ভয়ে অফিসের মধ্যেই কান্নাকাটি কর্মীদের, অ্যামাজনের অফিসে আতঙ্কের পরিবেশ
Amazon Employee Layoff: ২০২২ সাল শেষ হওয়ার আগেই অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ আভাস দিয়েছিল যে চলতি বছরেও কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া বজায় থাকবে। আর ঠিক সেটাই হয়েছে।
Amazon Layoff: গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের শেষভাগ থেকেই বিশ্বজুড়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের (Employee Layoff) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যত সময় এগোচ্ছে ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি। ক্রমশ এগোচ্ছে আরও খারাপের দিকে। দুর্বিসহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বেশ কিছু সংস্থার অফিসে। তার অন্যতম উদাহরণ অ্যামাজন (Amazon) সংস্থা। আন্তর্জাতিক স্তরে অ্যামাজন কোম্পানি কর্মী ছাঁটাই করেছে। তার আঁচ এসেছে ভারতেও। এখানেও শুরু হয়েছে কর্মী ছাঁটাই। আর তার জেরে অফিসে পরিবেশ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁরা তো কান্নাকাটি করছেনই। যাঁদের এখন চাকরি খোয়া যায়নি তাঁরা আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছেন। নষ্ট হয়েছে কাজের পরিবেশ। কর্মীদের মধ্যে কাজ করার তাগিদও কমেছে। চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কায় প্রতি মুহূর্তে সিঁটিয়ে যাচ্ছেন সকলে। অফিসের মধ্যেই কেঁদে ফেলছেন ভয়ে আতঙ্কে।
২০২২ সাল শেষ হওয়ার আগেই অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ আভাস দিয়েছিল যে চলতি বছরেও কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া বজায় থাকবে। আর ঠিক সেটাই হয়েছে। এবারের ছাঁটাই প্রক্রিয়ায় ১৮ হাজার কর্মী চাকরি খোয়াবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতেও প্রায় ১০০০ কর্মীর চাকরি খোয়া যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেও একধাক্কায় অনেক কর্মী ছাঁটাই করেছিল অ্যামাজন সংস্থা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালে নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে প্রথমবার কর্মী ছাঁটাই হয়েছিল অ্যামাজন সংস্থায়। সেই সময় একধাক্কায় চাকরি খুইয়েছিলেন প্রায় ১০ হাজার কর্মী। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ট্যুইটারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। তারপরই প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই শুরু করেন। এই দিয়েই শুরু হয়েছিল আতঙ্কের দিন। এরপর একে একে বিভিন্ন নামিদামি সংস্থা ট্যুইটারের পথে হেঁটেই ওয়ার্ক ফোর্স কমাতে শুরু করেছে। ট্যুইটারে ক্রিসমাসের আগেও কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। অ্যামাজনের মতো এই কর্মী ছাঁটাইয়ের দলে রয়েছে ভারতের একাধিক সংস্থাও।
গতবছর কর্মী ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে মেটা সংস্থাও। একধাক্কায় চাকরি খুইয়েছেন ১১ হাজার কর্মী। নতুন নিয়োগও বন্ধ করেছে মেটা কর্তৃপক্ষ। এবার তারা অফিসও খালি করা শুরু করেছে। এই দলে রয়েছে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষও। কারণ এই সংস্থাতেও ছাঁটাই হয়েছে কর্মী। সম্প্রতি বিপুল সংখ্যায় কর্মী ছাঁটাই করেছে ফেসবুকের (Facebook) প্রধান সংস্থা মেটা (Meta)। মাইক্রোসফটও (Microsoft) একই পথে হেঁটেছে। ফলে কাজের জায়গায় নেই অর্ধেক কর্মীও। যারা আছেন তাঁদের বেশিরভাগই 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' (Work From Home) কাজ করছেন। এই পরিস্থিতিতে এবার অফিস স্পেস খালি করছে এই দুই সংস্থা। ওয়াশিংটনের সিয়াটেল এবং বেলভিউ-এর অফিস বিল্ডিং খালি করার কাজ শুরু করেছে এই দুই সংস্থা। সিয়াটল টাইমস জানিয়েছে , ফেসবুক শুক্রবার নিশ্চিত করেছে যে সিয়াটলের ডাউনটাউনের অফিসগুলিকে সাব লিজ করার কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
আরও পড়ুন- নেই কর্মীরা, খাঁ খাঁ করছে বিল্ডিং! খালি হচ্ছে মেটা, মাইক্রোসফটের অফিস