ChatGPT: মোদি, মমতা হতে চান ? রাস্তা বলে দেবে চ্যাটজিপিটি
Open AI: মাথা খুড়ে পাওয়া যায় না এই পথে সাফল্যের চাবিকাঠি। তবে এবার থেকে আর চিন্তা করতে হবে না।
Open AI: মাথা খুড়ে পাওয়া যায় না এই পথে সাফল্যের চাবিকাঠি। তবে এবার থেকে আর চিন্তা করতে হবে না। রাজ্যে বা রাজধানীর রাজনীতিতে সফল হতে পথ দেখাবে ChatGPT। সামান্য প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন আপনার সমস্যার সমাধান।
ChatGPT: ফেলো কড়ি মাখো তেল
সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে এলন মাস্কের এই ওপেন এআই প্রযুক্তি। চ্যাট জিপিটিকে আগামীর ভবিষ্যৎ বলে বর্ণণা করছে টেক ব্লগাররা। এমনকী গুগল থেকেও একে অনেকটাই এগিয়ে রাখছে সামালোচকরা।
চ্যাট জিপিটি আসলে ওপেন AI এর চ্যাটবট। যা হল একটি এআই টুল, মেশিন লার্নিং ফিড-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এই প্রযুক্তি। যা বিশ্বের ডেটা সংগ্রহ করে। এই চ্যাটবট আপনার যেকোনও প্রশ্নের উত্তর সেকেন্ডের মধ্যে টেক্সট ফরম্যাটে দেয়। চ্যাট জিপিটির জনপ্রিয়তা দেখে, ওপেন এআই সম্প্রতি তাদের প্রফেশনাল প্ল্যান চালু করেছে। যাতে সাধারণ ব্যবহারকারীদের তুলনায় মানুষকে আরও ভাল পরিষেবা দেওয়া হবে বলে দাবি করছে কোম্পানিগুলি। মানে এখন চ্যাট জিপিটির পরিষেবা ব্যবহার করতে গিয়ে টাকা লাগবে।
ChatGPT: চ্যাট জিপিটির ক্ষমতা ও জ্ঞানের বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানতে, আমরা ব্যক্তিগতভাবে তাকে ভারতীয় রাজনীতি সম্পর্কে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি। যেখানে জানতে চাওয়া হয়, দেশে কেউ রাজনীতিতে আসতে চাইলে তাঁর পথ কী হবে ? চ্যাট জিপিটি মাত্র কয়েকটি লাইনে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। আপনি যদি এই প্রশ্নটি গুগল করেন, তবে গুগল আপনাকে কতগুলি লিঙ্ক, ভিডিও ইত্যাদি দেখাতে শুরু করবে। মানে সেখানে আপনাকে গবেষণা করতে হবে কিন্তু চ্যাট জিপিটি আপনাকে অবিলম্বে কী করতে হবে তা বলে দেবে।
Open AI: কী বলছে কোম্পানি ?
চ্যাট জিপিটি বলছে, দেশের রাজনীতিতে প্রবেশের জন্য ভারতের নাগরিক হতে হবে ওই ব্যক্তিকে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ,সব যোগ্যতা পূরণ করতে হবে তাঁকে। অর্থাৎ লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভার জন্য ব্যক্তির বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর ও রাজ্যসভার জন্য ৩০ বছর হতে হবে। এছাড়াও, প্রার্থীর উপর কোনও ফৌজদারি অপরাধ থাকলে তিনি রাজনীতিতে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে চ্যাটজিপিটি। পাশাপাশি রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সরকারি চাকরিতে থাকা উচিত নয় ওই রাজনীতিবিদের।
ChatGPT: বিধায়ক বা এমপি হতে হলে প্রথমে মনোনয়নপত্র পূরণ করতে হবে।
এরপর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।
পরে আপনাকে আপনার প্রচার করতে হবে। এর পর নির্বাচন হবে।
নির্বাচনের পর ভোট গণনা করা হবে, যাতে আপনি জিতলে দেশের রাজনীতিতে প্রবেশ করতে পারবেন।
আপনি যদি একজন সফল রাজনীতিবিদ হতে চান তাহলে চ্যাট জিপিটি বলছে, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আপনি যেকোনও দলে যোগ দিতে পারেন। অথবা যেকোনও দলের প্রতিনিধি হয়েও ভোটে লড়তে পারবেন আপনি।
Open AI: রাজনীতিবিদরা তাদের সামাজিক প্রোফাইল উন্নত করতে হবে
চ্যাটবট বলছে, দেশের রাজনীতিতে আসতে গেলে নিজেকে ডিজিটালি আরও শক্তিশালী রাখতে হবে। মনে রাখবেন, রাজনীতিবিদকে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলিতে সক্রিয় থাকতে হবে। এলাকার মানুষের সমস্যা বা সমাধানও ডিজিটালভাবে প্রকাশ করতে হবে রাজনীতিবিদকে, যাতে তাঁর করা কাজগুলি বহুদূর পৌঁছে যায়। এতে মানুষের কাছে প্রশংসার পাত্র হবেন ওই রাজনীতিবিদ।
এ ছাড়া রাজনীতিবিদরাও ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের প্রোফাইল ভাল করতে পারেন। চ্যাট জিপিটি বলছে, রাজনীতিবিদকে ক্রমাগত তার ডিজিটাল প্রোফাইল ট্র্যাক করতে হবে। কোন বিষয়ে তাকে আরও কাজ করতে হবে তা ডিজিটালি বুঝে নিতে পারবেন ওই ব্যক্তি। এরফলে তিনি মানুষকে কীভাবে জড়িত করতে পারেন,তা বুঝে নিতে পারবেন ভাবী রাজনীতিবিদরা।
Disclaimer: মনে রাখবেন, এই প্রতিবেদনগুলিতে প্রধানত ChatGPT (ওপেনএআই তৈরি ওয়ান্ডারবট) সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন ও প্রশ্নমালার প্রতিক্রিয়াগুলি আমরা তুলে ধরি। ABP Network Private Limited (ABP) এই ধরনের কোনও সংবাদের জন্য দায়বদ্ধ নয়৷পাঠকের উচিত ওপরের আর্টিকেলগুলি পড়ে নিজের বিচারবুদ্ধি দিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করা।
Government Scheme: পড়ুয়াদের ল্যাপটপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার ! আপনার কাছেও এসেছে এই মেসেজ ?