E-Challan Scam: ৪ হাজার মোবাইলে ফাঁদ পাতা, ১৬ লাখ টাকা খুইয়েছেন মানুষ ! নতুন জালিয়াতিকে ঘিরে আশঙ্কা
E-Challan Fraud Message: অপরাধীরা ফোনে ভুয়ো মেসেজ পাঠাচ্ছেন এবং কখনও পরিবহন সেবা বা কখনও কর্ণাটক পুলিশের নাম করে এই মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। মেসেজের মাধ্যমে একটি আপত্তিকর অ্যাপ ফোনে ইনস্টল করতে বলা হচ্ছে।
Cyber Scam: নতুন এক ফাঁদ পেতেছে সাইবার অপরাধীরা। একদল ভিয়েতনামি সাইবার অপরাধী এবার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে পাঠিয়ে দিচ্ছে গোপন এবং ঘাতক ম্যালওয়্যার, আপনারই অজান্তে। আর তারপরই ঘোর সর্বনাশ। হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়ো ট্রাফিক ই-চালান (E-Challan Scam) ঢুকছে আপনার ফোনে আর তাতে ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। বুধবার এমনই ঘটনার কথা জানা যায়। মূলত ভারতীয়দের টার্গেট করেছে এই ভিয়েতনামি অপরাধীর (Cyber Scam) দল। একটি সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা ক্লাউডসেক এই ম্যালওয়্যারটি চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যেই ৪৪০০ মোবাইলে ঢুকে বসে আছে এই ম্যালওয়্যার, একটি সিঙ্গল স্ক্যামেই ১৬ লাখ পর্যন্ত খোয়া গেছে এই ম্যালওয়্যারের কারণে। আপনার ফোনে ঢুকে নেই তো এই ম্যালওয়্যার ?
অপরাধীরা এই ক্ষেত্রে বেশ কিছু মানুষের ফোনে ভুয়ো মেসেজ পাঠাচ্ছেন এবং কখনও পরিবহন সেবা বা কখনও কর্ণাটক পুলিশের নাম করে এই মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। মেসেজের মাধ্যমে একটি আপত্তিকর অ্যাপ ফোনে ইনস্টল করতে বলা হচ্ছে। এই অ্যাপ ইনস্টল করলেই সর্বনাশ, এর মাধ্যমে অপরাধীরা যে শুধু ব্যক্তিগত তথ্য ছিনতাই করে নেবে তাই নয়, আর্থিক জালিয়াতির ঘটনাও ঘটছে এর মাধ্যমে। ব্যাঙ্কের সব তথ্য জেনে অ্যাকাউন্ট থেকে লুট করে নিচ্ছে সঞ্চিত টাকা। হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিঙ্ক আসছে ই-চালানের নামে আর সেই লিংক থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলেই সর্বনাশ।
একবার অ্যাপ ইন্সটল করার পরে এই অ্যাপটি প্রচুর অনুমোদন চাইবে, আপনার কনট্যাক্টস, আপনার ফোনের গ্যালারি, ফোন কল, এসএমএস ইত্যাদি। এর মাধ্যমে ওটিপি ও অন্যান্য গোপন তথ্যও জানতে পারবে অপরাধীরা। এমনকী এর মাধ্যমে গ্রাহকের ই-কমার্স অ্যাকাউন্ট থেকে গিফট কার্ডও চুরি করে নিচ্ছে অপরাধীরা যার কোনও চিহ্নও বুঝতে পারবেন না আপনি।
সাইবার জালিয়াতরা এই ক্ষেত্রে প্রক্সি আইপি ব্যবহার করেন যাতে তাদের চিহ্নিত করা সমস্যাজনক হয়ে যায়। এই ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ২৭১টি গিফট কার্ড ব্যবহার করেছেন, ১৬ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা লুট করেছেন। গুজরাত ও কর্ণাটকেই সবথেকে বেশি হানা দিচ্ছে এই সাইবার জালিয়াতরা।
এই ধরনের জালিয়াতি থেকে বাঁচার জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে তারা বিশ্বাসযোগ্য উৎস যেমন গুগল প্লে স্টোর থেকেই কেবল অ্যাপ ডাউনলোড করেন এবং ডাউনলোড করা অ্যাপের পারমিশন রেস্ট্রিক্ট করে রাখতেও বলা হচ্ছে। সিস্টেম যেন সবসময় আপডেট করা থাকে এবং ব্যাঙ্কিং বা এরকম সংবেদনশীল লেনদেনের সময় যেন নোটিফিকেশন আসে আপনার ফোনে।