Ananda Sokal: বহরমপুর জেলে বন্দি JMB-র তারিকুলের সঙ্গে আব্বাসের আলাপ। সেখানেই সন্ত্রাসের পাঠ!
ABP Ananda Live: মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত দুই ABT জঙ্গি আব্বাস আলি ও মিনারুল শেখের বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। দেখা করার কথা ছিল আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির সঙ্গে। এমনটাই দাবি অসম পুলিশের STF-এর। শুধু তাই নয়, খাগড়াগড় বিস্ফোরণে ধৃত JMB জঙ্গি তারিকুল ইসলাম ওরফে সাদেক সুমনের সঙ্গে জেলে আলাপ হয় আব্বাস আলির। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গির কাছ থেকে জেলেই পাঠ নেওয়া শুরু হয় আব্বাসের। জেলমুক্তির পর শাদ রাডিকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকবার তারিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখাও করে আব্বাস। তদন্তে এমনটাই দাবি অসম পুলিশের STF-এর।
বাংলাদেশে চরম অস্থিরতা, ভারতের বিরুদ্ধে লাগাতার বিষোদগারের মধ্যেই এবার পদ্মাপাড়ে যুদ্ধের মহড়া। রাজবাড়িতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক বিগ্রেড গ্রুপের যুদ্ধের মহড়া খতিয়ে দেখলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। অংশ নিয়েছিলেন সে দেশের তিন বাহিনীর প্রধানও। ইউনূস সরকার কি নতুন কোনও ইঙ্গিত দিতে চাইছে?
আজ, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ইউনুস বলেন, 'যদিও এটা বাস্তব নয়, এটা মহড়া মাত্র। কিন্তু এই মহড়া থেকেই বাস্তবের সৃষ্টি, প্রস্তুতি। যাতে আমরা প্রকৃত যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে আসতে পারি। সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্যই হল বিজয়ী হওয়া। দেশকে রক্ষা করা। যে কোনও মুহূর্তে, যে যে অবস্থায় রয়েছেন, প্রয়োজনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। পূর্ণ সাহস এবং পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে।' মনে করা হচ্ছে, এই মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ।
প্রাক্তন সেনা আধিকারিক থেকে শুরু করে...ইসলামিক কট্টরপন্থী নেতা...ভারত-বিদ্বেষ আবহে, এতদিন যুদ্ধের জিগিড় তুলছিলেন অনেকেই। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কও যখন প্রশ্নের মুখে, তখন বাংলাদেশে হয়ে গেল আসল যুদ্ধের মহড়া। একইসঙ্গে যুদ্ধের হুঙ্কার শোনা গেল ইউনূসের মুখে! একের পর এক গোলাবর্ষণ...বেয়োনেট.. ওপার বাংলার আকাশে পরপর উড়ল যুদ্ধবিমান। সাঁজোয়া গাড়ি নামিয়ে চলল মহড়া। কখনও হাই এক্সপ্লোসিভ গোলাবর্ষণ, আর্টিলারি মর্টার ব্যবহার, গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শত্রুপক্ষকে দমন... আবার কখনও স্মোক স্ক্রিন তৈরি করে চুপিসাড়ে শত্রুপক্ষের একেবারে কাছে পৌঁছে গিয়ে হামলার মহড়া দেওয়া হল।