Ananada Sakal 3: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ | Bangla News
ময়নাগুড়ির দোমহনিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। বেঁকে গেছে রেললাইনের একাংশ। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যন্ত্রাংশ। চলছে হাইড্রলিক প্রেস দিয়ে কামরা সরানোর কাজ।
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির দোমহনিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। আহত হয়েছেন ৩৬ জন। তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল ও জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। রাত তিনটে নাগাদ বিকানের এক্সপ্রেসের S10 কামরা থেকে এক যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে, উদ্ধারকাজ শেষ, এখন লাইন পরিষ্কারের কাজ চলছে। কুয়াশার মধ্যেই রেল লাইন থেকে ইঞ্জিন ও দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ৮টি কামরা সরানোর কাজ চলছে। আজ সকালে দুর্ঘটনাস্থলে আসেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। পরে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
অভিশপ্ত বিকানের এক্সপ্রেসে চড়ে জয়পুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন কোচবিহারের বাসিন্দা অনেক পরিযায়ী শ্রমিক। রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতেন তাঁরা। করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে বাড়ি ফিরছিলেন শ্রমিকরা। বাড়ি পৌঁছনোর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তাতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক। বরাতজোরে বেঁচে যাওয়া S10 কামরার এক যাত্রী অজিত বর্মনের চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। দুর্ঘটনার কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো গলা কেঁপে আসছে তাঁর। এদিকে, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালেও ভিড় করেছেন অনেকে। আহতদের সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন পরিজনরা। আবার কেউ কেউ কোনও খোঁজখবর না পেয়ে রয়েছেন উৎকণ্ঠায়।
দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে নয়। আহত বহু। আহত, নিহতদের আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে রেল।
ভোর হতে না হতেই গঙ্গাসাগরের সৈকতে জনজোয়ার। আলো ফোটার আগেই ফুটে উঠল বিধিভঙ্গের ছবি। কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন সমুদ্র সৈকতে। চলছে পুণ্যস্নান। ঘুচেছে দূরত্ববিধি। মুখে নেই মাস্ক। কেন মাস্ক পরেননি? প্রশ্ন করতেই হাজারো যুক্তি দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। সবাই যাতে কোভিডবিধি মেনে চলে, সেজন্য মাইকে অনবরত প্রচার করে চলেছে পুলিশ-প্রশাসন। তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষণ নেই কারও মধ্যেই। ফলে জনবিস্ফোরণের কাছে পুলিশ কার্যত দর্শকের ভূমিকায়। আগের রাত অবধি দেখা যাচ্ছিল মাস্ক পরে আছেন কিছু ব্যক্তি। ভোর হতেই উল্টে গেল ছবিটা। ব্যতিক্রমী কিছুজন মাস্ক পরে আছে। উধাও দূরত্ববিধি।
মকর সংক্রান্তির সকালেও বাবুঘাট থেকে পুণ্যার্থী বোঝাই বাস রওনা দিল গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে। কিন্তু, বাসস্ট্যান্ডে যথেষ্টই ঢিলেঢালা ছিল নজরদারি। চেক করা হচ্ছে না RTPCR টেস্টের রেকর্ড। শুধুমাত্র ভ্যাকসিনেশনের কাগজ দেখেই পুণ্যার্থীদের গঙ্গাসাগরে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, আজ সকাল থেকেই পুণ্যস্নান চলছে বাবুঘাটেও।