ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন (১১. ০৫.২১) : গঙ্গা - যমুনার পাড় ধরে সার দিয়ে পড়ে পচাগলা দেহ! ভাসছে জলে, সভ্য সমাজে মৃতের সামান্য সম্ভ্রম দেওয়া কি কর্তব্য নয়? সংক্রমণ কি বাড়বে না বহুগুণ?
অমানবিক!! অবর্ণনীয়!! হৃদয় বিদারক!! চোখে জল এনে দেয়, এমন দৃশ্য!
গঙ্গার পাড় ধরে সার দিয়ে পড়ে রয়েছে অসংখ্য পচাগলা দেহ!!
বিহারের বক্সারের পর এবার একই ছবি উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে!! গঙ্গার পাড়ে শতাধিক দেহের স্তূপ!! মৃতদেহের চারপাশে উড়ে বেড়াচ্ছে কাকা!! বীভত্সতা এমন জায়গায় যে, এই ছবি দেখানো তো দূরের কথা, ভাষাতেও প্রকাশ করা যায় না!!
বিহার, উত্তরপ্রদেশের বহু করোনা রোগীর দেহ সত্কার না করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, গহমেড় এলাকায় প্রায় ১ কিলোমিটারের মধ্যে গঙ্গায় প্রায় ১০০টি দেহ ভেসে এসেছে। সোমবার উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে যমুনাতেও এভাবেই একের পর এক মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখা যায়।
হাড় হিম করা ছবি সামনে আসে বিহারের বক্সার থেকেও। সংক্রমিতদের মৃতদেহ কার্যত দায়সারাভাবে সৎকার করার ফলে আধ পোড়া দেহ পড়ে থাকতে দেখা যা নদীর পাড়ে...কোনও মৃতদেহ ভেসে যায় মাঝনদীতে!!!
ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে দেখা যায় কাটিহারে শেষকৃত্য দূরের কথা, অ্যাম্বুল্যান্স থেকে মৃতদেহ ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় নদীতে...
কাটিহারেই আবার করোনা আক্রান্তের দেহ পোঁটলার মতো করে তুলে দেওয়া হয় রিকশায়...সোমবার যত্রতত্র মৃতদেহ ছড়িয়ে থাকার এই ভয়ঙ্কর ছবি সামনে আসার পর, বিহারের এনডিএ সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে লালু পুত্র তথা বিহারের বিরোধী দলনেতা ট্যুইট করে বলেন, বিহারে বক্সারে শতাধিক মৃতদেহ গঙ্গায় ভাসছে। এর থেকেই বোঝা যায়, পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। সরকার এখনও বাস্তব পরিস্থিতি স্বীকার করছে না। ডবল ইঞ্জিন সরকার ফেল করেছে, তাই গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ। হাসপাতাল থেকে শ্মশান, কোথাও জায়গা নেই।
উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে গঙ্গার পাড়ে মৃতদেহের স্তূপের ছবি সামনে আসার পর মঙ্গলবার মোদি সরকারকে আক্রমণ করে, ট্যুইটে রাহুল গান্ধী বলেছেন,
অসংখ্য মৃতদেহ নদীতে ভাসছে। হাসপাতালের সামনে লম্বা লাইন। জীবনের অধিকার ও নিরাপত্তা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী রঙিন চশমা না খুললে সেন্ট্রাল ভিস্তা ছাড়া অন্য কিছু দেখতে পাবেন না।