Ariadaha Jayanta Singh: সৌগতর বক্তব্যের পরই 'বদলে' গেল জয়ন্তের কুছ পরোয়া নেহি আচরণ !
Ariadaha Jayanta Singh : দক্ষিণেশ্বর থানার দায়ের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলার প্রেক্ষিতে জয়ন্ত সিংয়ের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যারাকপুর আদালত। অন্যদিকে, কিশোরকে সাড়াশি দিয়ে নারকীয় অত্যাচারের ঘটনার প্রেক্ষিতে, গ্রেফতার হওয়া জয়ন্ত-শাগরেদকে জামিন দিল আদালত। এদিকে সৌগত রায়ের এক বক্তব্যের পরই, গত কয়েকদিন ধরে জয়ন্তর ডোন্ট কেয়ার অ্যাটিটিউড বদলে গেল রাতারাতি। একদিনে দুই ছবি।একদিকে, মারধর সহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে,জয়ন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল দক্ষিণেশ্বর থানা। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১১১ নম্বর ধারায় তার বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধের মামলা দায়ের করল পুলিশ। অন্য়দিকে মঙ্গলবারই কিশোরকে বিবস্ত্র করে সাড়াশি দিয়ে নারকীয় অত্যাচারের ঘটনার প্রেক্ষিতে, জয়ন্তর শাগরেদ প্রসেনজিৎ দাস ওরফে লাল্টুকে জামিন দিল আদালত।
ধৃতের আইনজীবী এদিন বলেন, ভিডিওতে যে কিশোরকে দেখা গিয়েছে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। কিশোরের মেডিক্যাল রিপোর্ট কোথায়? কোথায় চিকিৎসা হয়েছিল নাবালকের? ভিডিওটি ২০১৯ সালের, কে ভিডিও রেকর্ড করেছিল? কিন্তু এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি সরকারি আইনজীবী। তিনি বলেন, নাবালকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। খোঁজার চেষ্টা চলছে। কিশোরকে খুঁজে পেতে সময় লাগবে। এরপরই ধৃতকে জামিন দেয় আদালত। এদিকে ধৃত জয়ন্ত সিংয়ের অতীত ঘাঁটতে গিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য় উঠে আসছে।
২০১৬ সালে বেলঘরিয়া থানার একটি মামলায় গ্রেফতার হয় জয়ন্ত সিং। সেবার অস্ত্র আইনে তাঁর বিরুদ্ধে রুজু হয় মামলা। পরে জামিন হয় জয়ন্তর। এরপর ২০২০ সালে ফের আরেকটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে বেলঘরিয়া থানা। এবারও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয় অস্ত্র আইনেই। ২০২৩ সালে প্রোমোটার অরিত্র ঘোষ ওরফে বুম্বার ওপর গুলি চালনার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় জয়ন্ত সিংকে। এছাড়া আরও ২ টি মামলাতেও গ্রেফতার করা হয়েছিল জয়ন্তকে। অর্থাৎ, মোট ৫ বার গ্রেফতার হয়েছিল জয়ন্ত। কিন্তু তার দৌরাত্ম্য় বন্ধ হয়নি। ABP Ananda LIVE