আনন্দ লাইভ: নিশীথ প্রামাণিক কি বাংলাদেশের নাগরিক? বিতর্ক উস্কে তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি কংগ্রেস সাংসদের
দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বাংলাদেশের নাগরিক? বিতর্ক উস্কে ট্যুইট কংগ্রেস সাংসদ রিপুন বরার। একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের উল্লেখ করে ট্যুইট করেছেন তিনি। ট্যুইটে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ রিপুন বরা লিখেছেন, ‘একজন বিদেশি নাগরিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিষয়টি গভীর উদ্বেগের। তদন্ত করে বিষয়টি স্পষ্ট করতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।’ প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে রিপুন বরা লিখেছেন, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে, নিশীথ প্রামাণিক বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁর জন্মস্থান বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার হরিনাথপুর। তিনি কম্পিউটার নিয়ে পড়াশোনার জন্য এ দেশে আসেন। ডিগ্রি লাভের পর তিনি প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। পরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কোচবিহারের সাংসদ নির্বাচিত হন।
এ ব্যাপারে কোচবিহার তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায় বলেছেন, তিনি বিষয়টি সোশাল মিডিয়ায় প্রথম তুলেছিলেন। তারই ফলস্বরূপ রাজ্যসভা সাংসদ তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন।তিনি বলেছেন, বিষয়টির খোলসা হওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে, বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভিযোগ করলেই তো হবে না। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা প্রমাণ দিন। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, অভিযোগ করলেই তা প্রমাণ হয় না। সারবত্তা থাকলে মানুষের সামনে আনুন, অভিযোগ করে প্রচারের আলোয় এনে প্রচারের আলো টানতে চাইছেন। তৃণমূল এর আগে আগে কোচবিহারের সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এবার প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো রিপুন বরার চিঠি ট্যুইট করে একই প্রশ্ন তুলেছেন ব্রাত্য বসু। বিষয়টিকে লজ্জাজনক বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ট্যুইট, ‘ঠিক প্রশ্নই করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ রিপুন বরা। একাধিক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, নিশীথ প্রামাণিক বাংলাদেশের নাগরিক।কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের আগে কি তাঁর কোনও তথ্য যাচাই হয়নি?! ভুললে চলবে না তাঁর বিরুদ্ধে থাকা একাধিক ফৌজদারি মামলার বিষয়টিও।’ রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের কটাক্ষ, 'অবাক পৃথিবী, অবাক করলে তুমি'।
প্রাক্তন রক্ষী মৃত্যু-তদন্তে শুভেন্দুর বাড়ির দরজায় ফের সিআইডি। গোয়েন্দারা শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের ভিডিওগ্রাফি করছেন। এলাকারও ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। দিব্যেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গোয়েন্দারা। ৪ সদস্যের সিআইডি টিম তদন্ত চালাচ্ছে।
সরকারি হাসপাতালে ১০ মিনিটের ব্যবধানে গৃহবধূকে ডবল ডোজ দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার পখন্না প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। পরিবারের দাবি, গতকাল ৯ মাসের সন্তানকে নিয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে টিকা নিতে যান ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, ১০ মিনিটের ব্যবধানে গৃহবধূকে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ দিয়ে দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী। পরিবারের দাবি, বিষয়টি জানাজানি হওয়ায়, ভ্যাকসিন গ্রহীতাকে একঘণ্টা হাসপাতালে বসিয়ে রাখা হয়। আজ ভোরে অসুস্থ বোধ করায়, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গৃহবধূর অবস্থা স্থিতিশীল। যদিও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁর পরিজনেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কী করে ভুল হল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, বিষয়টি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানো হয়েছে।
সি সি ক্যামেরা খারাপ ছিল পার্টির দিন। তাই উদ্ধার করা যাচ্ছে না পার্টির কোনও সি সি ক্যামেরার ফুটেজ। আবগারি বিভাগকে জানাল হোটেল হিন্দুস্থান কর্তৃপক্ষ, খবর সূত্রের।