ED on Fake IAS: দেবাঞ্জন-মামলায় পুলিশের কাছে তথ্য চাইল ইডি
দেবাঞ্জন মামলায় তথ্য চেয়ে পাঠাল ইডি। ক’টি এফআইআর দায়ের হয়েছে দেবাঞ্জনের নামে? জানতে চাইতে চাইল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে পুলিশের জালে দেবাঞ্জন দেবের আরও ২ সহযোগী। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দেবাঞ্জনের খুড়তুতো দাদা কাঞ্চন দেব। পুলিশের দাবি, নাকতলার বাসিন্দা কাঞ্চন ছিলেন দেবাঞ্জনের অফিসের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। তাঁকে কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোলিং অফিসার হিসেবে পরিচয় দেওয়া হত। প্রথম থেকেই তিনি জানতেন দেবাঞ্জন আদতে IAS নন। দেবাঞ্জনের প্রতারণা-কারবারে কাঞ্চনও যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। ধৃত শরৎ পাত্র কাজ করতেন তালতলা এলাকার এক চিকিৎসকের চেম্বারে। সেখানেই ইঞ্জেকশন দিতে শিখেছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেবাঞ্জনের ভুয়ো ক্যাম্পে শরৎই দিতেন ভুয়ো ভ্যাকসিন। দাবি পুলিশের।
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে দেবাঞ্জন দেব সম্পর্কে সোমবার মুখ খোলেন মুখ্য়মন্ত্রীও। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, "সব নকল করেছে সে। এটা সরকারের কাজ নয়। সাধারণ মানুষকে সতর্ক হতে হবে। মানুষের জীবন নিয়ে যারা খেলে তারা জঙ্গিদের থেকেও ভয়ঙ্কর। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আমরা কড়া ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়েছে। আমি নিজে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। এই বিষয়ে কোনও অজুহাত দেখানো যাবে না। যাঁরা তাঁকে সাহায্য করেছে তাঁরাও রেহাই পাবেন না। এই বিষয়ে আমরা সব ধরনের কড়া পদক্ষেপ নিতে তৈরি। যাঁদের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল সকলের নাম জোগাড় করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর তাঁদের শরীরের দিকে নজর রাখছে। তাঁদের আবার ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে কি না তা ঠিক করবে বিশেষজ্ঞ কমিটি। মিমির শরীর খারাপ, আমরা ওকে নিয়ে চিন্তিত। আমার ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। এই ধরনের প্রতারকদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। কেউ আমার সঙ্গে ছবি তুলে নিল মানেই আমি তাঁকে চিনি এমন নয়। বিজেপি (BJP) আগে ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলির তদন্ত সিবিআই (CBI) দিয়ে করাক।"