Fake IAS Arrested: ভুয়ো ক্যাম্পে দেওয়া টিকা কি কোভিশিল্ড? কসবা কাণ্ডে নমুনা যাচ্ছে ল্যাবে
কসবায় ভুয়ো নথি দিয়ে ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প। "বাগরি মার্কেট থেকে কোভিশিল্ড কিনেছিলাম।" জেরায় এমনই স্বীকার অভিযুক্তের। দাবি পুলিশ সূত্রের। ক্যাম্পে যে কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছে তাও কি ভুয়ো? কোভিশিল্ড বলে ভুয়ো ক্যাম্পে যা দেওয়া হয়েছে তা কী? ক্যাম্পে দেওয়া কোভিশিল্ডের নমুনা পাঠানো হচ্ছে ল্যাবে। পুরসভার যুগ্ম কমিশনার পরিচয় দিয়ে ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করা হয়। গতকাল কসবার এই ক্যাম্পে গিয়েই টিকা নেন অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। কসবার ভুয়ো ক্যাম্প থেকে করোনার টিকা নেন শতাধিক। আসলে কী টিকা দেওয়া হয়েছিল প্রশ্ন ভ্য়াকসিন গ্রাহকদের। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও এসএমএস (SMS) না আসায় সন্দেহ হয় তাদের। পুরসভার অনুমোদন ছিল না। কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)।
এদিকে ভুয়ো আইএএস পরিচয় দিয়ে কসবা প্রতারণা কাণ্ডে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দেবাঞ্জন দেব জেনেটিক্সে এমএসসি। কলকাতার প্রথম শ্রেণির ক্লাবে ক্রিকেটও খেলেছেন তিনি। দেবাঞ্জনের বাবা ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১২ সালে অবসর নেন দেবাঞ্জনের বাবা। দেবাঞ্জনের ইচ্ছা ছিল IAS হওয়ার। পরীক্ষায় সফল হতে পারেননি তিনি। বাবার কাছ থেকে গাড়ি নিয়ে সেখানে স্টিকার ও নীল বাতি লাগান। নিজেকে উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক বলে পরিচয় দিতে একের পর এক জাল নথি তৈরি করেন দেবাঞ্জন। কসবা রাজডাঙ্গায় কলকাতা পুরসভার নামে একটি অফিসও খুলে বসেন তিনি। পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার জাল নথি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যভবনে চিঠি লিখে ভ্যাকসিনের আবেদন জানানো হয়। ভ্যাকসিন ক্যাম্পে ব্যবহার হওয়া ভ্যাকসিনগুলি জাল কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় দেবাঞ্জন জানিয়েছে বাগরি মার্কেট থেকে ভ্যাকসিন কিনেছিলেন তিনি।