Fake Vaccination Scam: ভ্যাকসিনকাণ্ডে দেবাঞ্জনের ৭ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত
দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে ভ্য়াকসিন নেওয়ার পর থেকে তৃণমূলের অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে (Mimi Chakraborty) নিয়ে জোর আলোচনা। এরই মধ্য়ে এই মামলায় আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন দেবাঞ্জন দেবের কসবার অফিসের ধৃত বাড়িওয়ালা। এদিন আদালতে তাঁর আইনজীবী বলেন, "কেএমসির ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে অফিস ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। বাড়িওয়ালা নিজেও প্রতারিত হয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভুয়ো ভ্যাকসিনক্যাম্পে টিকা নেন তিনিও। এমনকী অফিসের কর্মীদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তার জন্য দেবাঞ্জনকে ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা দেন। ভ্যাকসিন নিয়ে বাড়িওয়ালা গ্রেফতার হলে মিমি চক্রবর্তীও গ্রেফতার হোক।" এদিকে দেবাঞ্জনের আইনজীবী জামিন চেয়ে আদালতে বলেন, "খুনের চেষ্টার যে ধারা যুক্ত করা হয়েছে তার কোনও মোটিভ পাওয়া যায়নি। ভ্য়াকসিন নিয়ে কেউ অসুস্থও হননি।" সরকারি আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, "৩ জুলাই দেবাঞ্জনের অফিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ ২৬টি সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সঠিক তদন্ত করতে ধৃতদের ফের হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।" এদিকে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড নিয়ে বৃহস্পতিবার ইডির (ED) ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়েই দিল্লির সদর দফতরে প্রাথমিক অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে দিল্লির সঙ্গে কলকাতার অফিসের আধিকারিকদের ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। সোমবার তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠকেও নাম না করে কার্যত দেবাঞ্জন প্রসঙ্গ ওঠে। সূত্রের খবর, বৈঠকে বিধায়কদের সতর্ক করে বলা হয়েছে কোনও অনুষ্ঠানে গেলে কে আয়োজক, কারা আমন্ত্রিত তা যাচাই করে দেখতে হবে।