Live updates: পুঞ্চে পাক সেনার গুলিতে হত ভারতীয় জওয়ান, জখম ৪, ব্যারিকেড উঠল শ্রীনগরের লালচকে, জম্মু বিমানবন্দরেও বাধা গুলাম নবিকে, ফেরত দিল্লিতে
LIVE
Background
জম্মু: জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সেনার সামনের দিকের চৌকি ও গ্রামগুলি নিশানা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন চারজন। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ কৃষ্ণঘাটি সেক্টরে সীমান্তের ওপার থেকে হামলা শুরু হয় বলে নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে খবর। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীও এর যোগ্য জবাব দিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলির লড়াই অব্যাহত রয়েছে। মর্টার, ছোট আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গোলাগুলি ছুঁড়ছে পাক জওয়ানরা।
গত সপ্তাহেও পাক সেনাবাহিনী কাছের রাজৌরির নৌশেরা সেক্টরে গোলাগুলি চালায় যার বলি হন এক ভারতীয় সেনা জওয়ান। তবে পাল্টা ভারতীয় সেনার জবাবে পাকিস্তানেরও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় সেনার মুখপাত্র।
এদিকে শ্রীনগরের খবর, শহরের প্রাণকেন্দ্র লালচকের ক্লক টাওয়ারের আশপাশে সাধারণ নাগরিকদের যাতায়াত, যানবাহন চলাচলের সুবিধার জন্য ১৫ দিন বাদে আজ ব্যারিকেড তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ বেশ কিছু এলাকায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। যদিও তা বহাল রয়েছে অন্য এলাকাগুলিতে। সোমবার সরকারি স্কুলগুলি খুললেও বেশিসংখ্যক পড়ুয়ার দেখা মেলেনি। তবে সরকারি দপ্তরে হাজিরার উন্নতি দেখা গিয়েছে। সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন, শহরের সিভিল লাইন্স এলাকার কিছু অংশে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। তবে শ্রীনগরের উপকন্ঠে, কাশ্মীর উপত্যকার অনেক এলাকায় লোকজনের আসাযাওয়া, গাড়িঘোড়া চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ বহাল রয়েছে। আবার একাধিক জায়গায় বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আইনশৃঙ্খলা বহাল রাখতে নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। ডালগেট, বুলেভার্ড, সোনওয়ার, এমএ রোড, রাজবাগ ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বেশ কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন চোখে পড়েছে। বিভিন্ন জেলার মধ্যেও যানবাহন চলাচল করেছে। তবে উপত্যকায় বাজার বন্ধ রয়েছে, সরকারি যানবাহনও রাস্তায় নামেনি। আজ নিয়ে ১৬দিন বন্ধ রয়েছে মোবাইল, ইন্টারনেট সংযোগ। ল্যান্ডলাইন টেলিফোন সংযোগও অধিকাংশ এলাকায় কাজ করছে না। কর্তৃপক্ষের দাবি, ৫ আগস্ট কেন্দ্র ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ও রাজ্যকে দুটুকরো করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকে পরিস্থিতি মোটের ওপর শান্তই রয়েছে। কোথাও কোথাও যুবকদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষ হলেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে যায়নি।
কাশ্মীর উপত্যকায় শনিবার থেকে ধাপে ধাপে, ৩৫টি থানা এলাকায় প্রথমে ৬ ঘন্টা ও ৫০টি থানা এলাকায় ৮ ঘন্টার জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। সোমবার প্রশাসন শহরে ১৯০টি সহ উপত্যকার প্রাথমিক স্কুলগুলি ফের খোলার জন্য যাবতীয় বন্দোবস্ত করে। তবে বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি সহ বেশিরভাগ স্কুলেই কোনও পড়ুয়া আসেনি।