Shani Dev: মা-কে অপমান, ক্রোধেরবশে শিবের তপস্যা করে এই বর পান শনিদেব !
Shani Dev's story : এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, শনিবার শনিকথা শুনলে এবং পাঠ করলে শনিদেব প্রসন্ন হন এবং তাঁর মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন।
কলকাতা : শনি (Shani) সূর্যের (Sun) পুত্র। কিন্তু, এর পরেও শনি তাঁর পিতার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেন। এর সাথে সম্পর্কিত একটি কিংবদন্তি (Legend) রয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে কী জন্য বাবা সূর্যের উপর রাগ করেছিলেন শনিদেব। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, শনিবার শনিকথা শুনলে এবং পাঠ করলে শনিদেব প্রসন্ন হন এবং তাঁর মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন।
শনির গল্প-
পুরাণে শনিদেবের কাহিনির বর্ণনা পাওয়া যায়। স্কন্ধ পুরাণের কাশীখণ্ডের কিংবদন্তি অনুসারে, সূর্যদেব রাজা দক্ষিণের কন্যা সাঙ্গ্যাকে বিবাহ করেছিলেন। স্ত্রী সাঙ্গ্যা সূর্যদেবতা বেশি তীক্ষ্ণ হওয়ায় বিপাকে পড়তেন। এই গরম থেকে বাঁচার উপায় খুঁজতে থাকেন তিনি। এরপর একটি সমাধান বের করেন এবং নিজের গঠন তৈরি করেন সাঙ্গ্যা। যার নাম রাখেন স্বর্ণা। এরপর তপস্যার জন্য বনে যান।
সূর্য সন্দেহ করেননি-
সূর্য দেবতা স্বর্ণাকে কখনো সন্দেহ করেননি। আর স্বর্ণা ছায়া হওয়ায় তাঁরও সূর্যদেবের তেজে কোনও সমস্যা হয়নি। সূর্যদেব এবং স্বর্ণার তিন সন্তান মনু, শনিদেব এবং ভদ্রের জন্ম হয়।
স্ত্রীর ওপর সন্দেহ হয় সূর্যদেবের-
একবার সূর্যদেব তাঁর স্ত্রী স্বর্ণার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। সূর্যদেবের তাপ ও তেজের সামনে চোখ বন্ধ করেন শনিদেব। কিন্তু, শনিদেবের রং দেখে স্ত্রী স্বর্ণার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন সূর্য। মায়ের অপমান দেখে শনিদেব খুব রেগে যান এবং পিতার সাথে শত্রুতা করতে শুরু করেন।
শিবের কাছে এই বরপ্রাপ্তি-
ক্রুদ্ধ হয়ে শনিদেব শিবের তপস্যা শুরু করেন। তিনি কঠোর তপস্যা করেছিলেন। শনিদেবের তপস্যার জেরে ভগবান শিবকে শনিদেবের কাছে আসতে হয়েছিল। শনিদেবের সামনে হাজির হন শিব। শনিদেব বলেন, পিতা সূর্য তাঁর মাকে অপমান করেছেন। এ কথা তিনি কখনও ভুলতে পারবেন না। শনিদেব শিবের কাছে তাঁর পিতার চেয়ে অধিক শক্তিশালী ও পূজনীয় হওয়ার বর চেয়েছিলেন। শিব বলেন, তাই হবে। এর সাথে শুধু মানুষ নয়, দেবতা ও অসুররাও আপনাকে ভয় পাবেন। এই কারণেই শনির দৃষ্টি থেকে কেউ রেহাই পায় না।
আরও পড়ুন ; কার্তিক মাসে এই ৪টি কাজ করলে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পাওয়া যায়
ডিসক্লেমার : (কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রিত তথ্য প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)