Shani Sare Sati : আগামী ৮ টা বছর বড্ড কঠিন, একে একে এই রাশিগুলি এসে পড়বে শনির সাড়ে সাতির প্রভাবে
Sare Sati : যখন কোনও ব্যক্তি শনির সাড়ে সাতি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তখন তাঁর জীবনে কঠিন পর্যায় চলে। অনেক সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
শনিদেবকে বাঙালিরা বড়ঠাকুর নামে ডাকেন। কর্মের ফল দাতা শনিদেব। তিনি বিচারকের আসনে অধিষ্ঠিত। শনির কড়া নজরে থাকলে সবার যে একই রকম হবে জীবন এমনটা নয়। তিনি পরিশ্রমীর সঙ্গে থাকেন। সততা ও পরিশ্রম তাঁর দয়া পাওয়ার অন্যতম উপায়।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, রাশিচক্র পরিবর্তনের নিরিখে শনিগ্রহ অন্য সব গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে ধীর। যখন কোনও ব্যক্তি শনির সাড়ে সাতি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তখন তাঁর জীবনে কঠিন পর্যায় চলে। অনেক সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আগামী ৮ টা বছরও কোনও কোনও রাশির জন্য কঠিন হতে পারে।
শনির কড়া নজরে কয়েক রাশি থাকবে। তবে মনে রাখতে হবে ভাল -মন্দের বিচারক শনি। তাই তাঁর রোষ - নজরে থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ সৎ জীবন যাপন করেন, অন্যের প্রতি দয়াবান হন , তাহলে অনেকটা এড়াতে পারবেন সাড়ে সাতির কঠিন সময়।
শনির সাড়ে সাতিতে আক্রান্ত হলে তাঁকে জীবনে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শনিদেব ২০২৩ সাল থেকে আছেন কুম্ভ রাশিতে, যা আগামী বছর ফের সরে যাবে। ২০২৫ সালে শনিদেব মীন রাশিতে প্রবেশ করবেন। এই পদক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে মেষ রাশির সাড়ে প্রথম পর্ব শুরু হবে। মীন রাশির জাতকদের জন্য সাড়ে সাতির দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। আর কুম্ভের জাতকদের জন্য সাড়ে সাতির শেষ পর্যায় শুরু হবে ২০২৫ এ।
কুম্ভ রাশিতে অবস্থিত শনি মীনে প্রবেশ করবেন । কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকারা ৩ জুন, ২০২৭ পর্যন্ত শনির সাড়ে সাতি দ্বারা প্রভাবিত থাকবে। মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের সাড়ে সাতি চলবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত। এরপর আবার বৃষ রাশির সাড়ে সাতি শুরু হবে ২০২৫ এর ঠিক আড়াই বছর পরে। ২০২৭ সালে শুরু হবে বৃষর সাড়ে সাতি। তার আড়াই বছর পর মিথুন রাশির জাতক-জাতিকাদের সাড়ে সাতি শুরু হবে। অর্থাৎ ২০২৯ সালের অগাস্ট থেকে। এরপর আবার শনি রাশি পরিবর্তন করবেন ২০৩২ এ তখন নতুন করে সাড়ি সাতির আওতায় আসবে কর্কট রাশি। তাহলে দেখা যাচ্ছে ২০২৪ থেকে ২০৩২ পর্যন্ত শনির রোষ-নজরে থাকতে চলেছে কুম্ভ, মীন, মেষ, বৃষ, মিথুন এবং কর্কট । তবে সবার উপর একই রকম ভাবে আঘাত হানেন না শনি। সবাইকেই বিচার করেন কর্মফল ও মানসিকতার নিরিখে।
ডিসক্লেমার : কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।