EV Battery: ৩০০০ কিমি রেঞ্জ দেবে, ৫ মিনিটেই হবে ফুল চার্জ ! অত্যাধুনিক ইভি ব্যাটারি প্রযুক্তি আনল এই সংস্থা
EV Battery Technology: এই নতুন ইভি ব্যাটারির সাহায্যে কোনও গাড়ি বা বাইক ৩ হাজার কিমি রাস্তা যেতে পারবে একবার চার্জে এবং এই ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ দিতে সময় লাগবে মাত্র ৫ মিনিট।

Huwaei EV Battery: বৈদ্যুতিন যানবাহনের দুনিয়ায় ঝড় তুলবে হুয়াই সংস্থা। সম্প্রতি এই সংস্থা একটি অত্যাধুনিক ব্যাটারি প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে। তাত্ত্বিক দিক থেকে এই নতুন ইভি ব্যাটারির সাহায্যে কোনও গাড়ি বা বাইক ৩ হাজার কিমি রাস্তা যেতে পারবে একবার চার্জে এবং এই ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ দিতে সময় লাগবে মাত্র ৫ মিনিট। চিনে একটি নতুন পেটেন্ট ফাইল করা হয়েছে আর এর মাধ্যমেই এই নতুন ব্যাটারি প্রযুক্তির ব্যাপারে জানা গিয়েছে। এটি আদপে একটি অত্যাধুনিক সলিড-স্টেট ব্যাটারি ডিজাইন যা দ্রুত চার্জিংয়ের সুবিধে এনে দেয়।
এই প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে ব্যাটারি
হুয়াই সংস্থার ব্যাটারিতে মূলত নাইট্রোজেন-ডোপড সালফাইড তড়িৎদ্বার ব্যবহৃত হয় যার আসল লক্ষ্য হল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারির ক্ষয় রোধ করা। সংস্থা দাবি করছে যে এই ব্যাটারির এনার্জি ডেনসিটি ৪০০ থেকে ৫০০ Wh/Kg। এটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ক্ষমতার থেকেও তিনগুণ বেশি। এই শক্তি ঘনত্বের সঙ্গে একটি মাঝারি মাপের ইভি গাড়ি ৩ হাজার কিমি রাস্তা অনায়াসে যেতে পারবে।
তবে হুয়াইয়ের ৩ হাজার কিলোমিটারের পরিসংখ্যান দেওয়া হচ্ছে মূলত চায়না লাইট ডিউটি ভেহিকল টেস্ট সাইকেলের মাধ্যমে যা প্রায়ই বাস্তব অবস্থার চেয়ে ভাল পরিসংখ্যান দেয়। মার্কিন ইপিএ-র মত কঠোর পরিসংখ্যান হলে এই রেঞ্জ নেমে আসবে ২ হাজার কিমিতে। তবু বর্তমান ইভির ক্ষমতার থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে এই নতুন ইভি ব্যাটারি প্রযুক্তি।
এই প্রযুক্তি কি আসলেই ব্যবহারিক ?
এত বড় মাপের ব্যাটারি তৈরি করাই শুধু নয়, এই ব্যাটারি গাড়িতে লাগানোও একটা বড় প্রতিবন্ধকতা। এর যে খরচ তা চালানোও একইসঙ্গে মাথায় রাখতে হয়। হুয়াইয়ের এই নতুন ইভি ব্যাটারি প্রযুক্তি যদি সর্বোচ্চ ক্ষমতায় ব্যবহার করা হয় তাহলে ব্যাটারির ওজন একটি ছোট হ্যাচব্যাক গাড়ির ওজনের সমান হতে পারে। এর ফলে ইভিগুলির রানিং কস্টও অনেক কমে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে আগামীতে এই সংস্থা উক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছোট এবং হালকা ব্যাটারি প্যাক বানানোর প্রয়াস করবে যাতে ৮০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ মিলতে পারে। তবে এর দাম এবং কর্মক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য রাখা দরকার। এটি যে শুধু উৎপাদন খরচই কমাবে এমন নয়, ইভির গতিশীলতা এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাও অনেক উন্নত হবে।






















