Tata Cars: আরও দুটো মডেলের ইভি ভার্সন আনবে টাটা- কোন মডেল, কত দাম ?
Tata Motors: টাটা পাঞ্চের পর বাজারে আসবে টাটা কার্ভ এবং টাটা হ্যারিয়ার ইভি। এমনই জানা গিয়েছে সংস্থার তরফে। ইভির দুনিয়ায় রাজ করবে টাটা মোটরস।
সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়: সম্প্রতি বাজারে এসেছে টাটার নতুন ইভি মডেল টাটা পাঞ্চ (Tata Punch)। তবে এখানেই থেমে নেই টাটা। এই বছর ভারতের বাজারে আরও দুটি ইভি মডেল আনতে চলেছে টাটা মোটরস। টাটা কার্ভ (Tata Curvv) এবং টাটা হ্যারিয়ারের (Tata Harrier) ইভি ভার্সন আসতে চলেছে বাজারে। ইভির আর্কিটেকচারের দিক থেকেই টাটা মোটরসের প্রথম ইভি প্রোডাক্ট ধরা যায় টাটা পাঞ্চকে। 'acti.ev' আর্কিটেকচারে বানানো হয়েছে এই গাড়িটি। তবে এর পরে পাঞ্চের মতই দুর্ধর্ষ ফিচার্স নিয়ে হাজির হবে টাটা কার্ভ এবং টাটা হ্যারিয়ার।
টাটার নেক্সন (Tata Nexon) ইভি নয়, বরং টাটা কার্ভ বাজারে এলে পাল্লা দেবে ক্রেটার (Creta) মডেলের সঙ্গে। জানা গিয়েছে প্রথমে ইভি ভার্সনে লঞ্চ হলেও এটি পরে পেট্রোল ইঞ্জিন ভার্সনেও লঞ্চ হবে। আর টাটা কার্ভের পর বাজারে আসবে টাটা হ্যারিয়ার ইভি। ইতিমধ্যেই এর কনসেপ্ট মডেলটি দেখানো প্রদর্শিত হয়েছে। এই নতুন ইভি মডেলে আকর্ষণীয় ফিচার্স বলতে থাকছে দুরন্ত ব্যাটারি প্যাক যা কিনা ৩০০ থেকে ৬০০ কিমি রেঞ্জ দেবে। অল হুইল ড্রাইভ কিংবা সিঙ্গল মোটর, যেভাবেই চালানো হোক কেন এই রেঞ্জ পাওয়া যাবে।
এর মানে এই সমস্ত প্রিমিয়াম ইভিগুলিতে ডুয়াল মোটর কনফিগারেশন থাকে। ডিজাইন দুটি মডেলের ক্ষেত্রেই একইরকম থাকছে। একটা কমন টেমপ্লেট থাকছে এই মডেলের। আলাদা আলাদা গ্রিল, লাইটবার এবং এয়ারো অপটিমাইজড স্টাইলিং প্লাস ফিচার্স সবই পাওয়া যাবে হ্যারিয়ার এবং কার্ভের মডেলে।
অন্যদিকে ইন্টিরিয়রের কথা বলতে গেলে এই টাটা কার্ভ (Tata Curvv) বা হ্যারিয়ার ইভির লুক অনেকটাই টাটা নেক্সন কিংবা টাটা পাঞ্চের মত হবে। স্টিয়ারিং হুইলে ডিজিটাল লোগো, দু-দুটি বড় বড় টাচস্ক্রিন থাকছে এই মডেলে। নতুন এই প্ল্যাটফর্মের অন্যান্য সুবিধের মধ্যে রয়েছে দ্রুত চার্জিং।
ফলে এটা স্পষ্ট যে টাটা মোটরস (Tata Motors) ইভির দুনিয়ায় নিজেদের রাজত্ব বজায় রাখতে আরও ইভি বাজারে আনবে। নেক্সন এবং পাঞ্চের পরে টাটার নজর প্রিমিয়াম কম্প্যাক্ট SUV স্পেসের দিকে। আর এই লক্ষ্যেই নতুন টাটা কার্ভ ইভি এবং টাটা হ্যারিয়ার ইভির মডেল বাজারে আনতে চলেছে তারা।
কিছুদিন আগেই বাজারে এসেছে টাটা মোটরসের নতুন ইভি মডেল টাটা পাঞ্চ। মাত্র ১১ লাখ টাকা থেকে শুরু এই গাড়ির দাম যেখানে এই গাড়িতে রয়েছে দুটি ব্যাটারি প্যাক যার মধ্যে একটি ২৫ কিলোওয়াট আওয়ার ভার্সন যার রেঞ্জ ৩১৫ কিমি এবং অন্যটি ৩৫ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি যার রেঞ্জ ৪২১ কিমি। মাত্র ৯.৫ সেকেন্ডের মধ্যে এই গাড়িতে প্রায় ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় গতি উঠতে পারে যেখানে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়।