পতঞ্জলি নিজেদের একটি আধ্যাত্মিক রূপান্তরের কেন্দ্র হিসেবে দাবি করে, যা
Patanjali Ayurveda : এক আধ্যাত্মিক বিপ্লব, কীভাবে ব্যবসার বাইরে সমাজ গড়ে তুলছে পতঞ্জলির স্বাস্থ্য মিশন ?
Swami Ramdev : পতঞ্জলি দাবি করেছে, তাদের আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠান কেবল একটি বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য নয়, বরং আধ্যাত্মিক রূপান্তরের কেন্দ্র।

Swami Ramdev : স্বাস্থ্য মিশনের মাধ্যমে চলছে সমাজ নির্মাণের কাজ। যেখানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করছে দেশীয় কোম্পানিগুলি। পতঞ্জলি দাবি করেছে, তাদের আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠান কেবল একটি বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য নয়, বরং আধ্যাত্মিক রূপান্তরের কেন্দ্র। যা "স্বদেশি আন্দোলনে" অনুপ্রাণিত হয়ে ব্যবসার গণ্ডি ছাড়িয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে নতুন দিক দর্শাচ্ছে।
এই নিয়ে কী বলছে পতঞ্জলি
পতঞ্জলির সংস্থার মতে, বিশ্বের আঙিনায় আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে সংগঠন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গভীর পরিবর্তন আনছে। বর্তমানে কোম্পানি কেবল পণ্য বিক্রির গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নেই।
পতঞ্জলি বলছে, "স্বামী রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণের অংশীদারিত্ব পতঞ্জলি এমন একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে, যেখানে যোগাসন ও প্রাণায়াম কেবল শারীরিক ব্যায়াম নয় বরং আধ্যাত্মিক জাগরণের উপকরণ। হরিদ্বারের পতঞ্জলি যোগপীঠে আয়োজিত মাসিক যোগ শিবিরে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। এই শিবিরগুলি কেবল মানুষকে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করেছে তা নয়, মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতার সঙ্গে লড়াই করা ব্যক্তিদেরও নতুন শক্তি দিয়েছে।"
পতঞ্জলির আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব সমাজকল্যাণের ওপর জোর দেয়
পতঞ্জলি দাবি করে, “পতঞ্জলির আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব সমাজকল্যাণের ওপর জোর দেয়। কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে, পতঞ্জলি ‘কিষাণ ভাই যোজনা’-এর অধীনে লক্ষ লক্ষ কৃষককে আয়ুর্বেদিক কৃষিকাজের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এটি কেবল তাদের আয় দ্বিগুণ করেনি, পাশাপাশি রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরতাও কমিয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় এর অবদানও উল্লেখযোগ্য। এই প্রকল্পের আওতায় ‘এক পেড় মা কে নাম’ প্রচারের মাধ্যমে কোটি কোটি চারা রোপণ করা হয়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে একটি আধ্যাত্মিক লড়াই। শিক্ষার ক্ষেত্রে, পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয় ৫০,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীকে যোগ-ভিত্তিক শিক্ষা প্রদান করেছে, যা তাদের কেবল ডিগ্রি নয়, জীবনের মূল্যবোধ শেখায়।”
স্বাস্থ্য থেকে সমৃদ্ধি
কোম্পানি বলছে, “ব্যবসায়ের বাইরে পতঞ্জলি মডেল ‘স্বাস্থ্য থেকে সমৃদ্ধি’র একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আয়ুর্বেদিক পণ্যের মাধ্যমে এটি কেবল বাজার দখল করছে না, বরং উপভোক্তাদের রোগমুক্ত জীবনযাপনের জন্য অনুপ্রাণিত করছে। বিশ্বব্যাপীও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। আমেরিকা ও ইউরোপের যোগ কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে পতঞ্জলি ভারতীয় সংস্কৃতি বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছে।”
যোগের মাধ্যমে সমাজকে সুস্থ করার বার্তা রামদেবের
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কোম্পানি বর্তমানে পুঁজিবাদের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতা মেলবন্ধন করছে। যা সবার কাছে একটি নতুন মডেল উপস্থাপন করছে। যেখানে ব্যবসায় লাভ কেবল অর্থনৈতিক নয়, মানবিক দিকও তুলে ধরছে। এই প্রসঙ্গে স্বামী রামদেব বলেছেন, "যোগ ও আয়ুর্বেদের মাধ্যমে আমরা কেবল শরীরকেই নয়, সমাজকেও সুস্থ করে তুলব।"
Frequently Asked Questions
পতঞ্জলি কেবল একটি বাণিজ্যিক সংস্থা নাকি এর থেকে বেশি কিছু?
পতঞ্জলি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে কীভাবে অবদান রাখছে?
পতঞ্জলি আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়নে পরিবর্তন আনছে। তারা পণ্য বিক্রির বাইরেও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত।
কিভাবে পতঞ্জলি কৃষকদের সহায়তা করছে?
পতঞ্জলি 'কিষাণ ভাই যোজনা'-এর অধীনে লক্ষ লক্ষ কৃষককে আয়ুর্বেদিক কৃষিকাজের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যা তাদের আয় দ্বিগুণ করেছে এবং রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরতা কমিয়েছে।
শিক্ষার ক্ষেত্রে পতঞ্জলির ভূমিকা কী?
পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয় ৫০,০০০-এর বেশি শিক্ষার্থীকে যোগ-ভিত্তিক শিক্ষা প্রদান করেছে, যা তাদের শুধু ডিগ্রি নয়, জীবনের মূল্যবোধও শেখায়।
স্বামী রামদেবের মতে, যোগ ও আয়ুর্বেদের মূল উদ্দেশ্য কী?
স্বামী রামদেবের মতে, যোগ ও আয়ুর্বেদের মাধ্যমে কেবল শরীরকেই নয়, সমাজকেও সুস্থ করে তোলা তাদের মূল উদ্দেশ্য।






















