Budget 2025 : সীমান্তে আগ্রাসন রুখতে বাড়বে প্রতিরক্ষা বাজেট ? দেশীয় প্রযুক্তিতে অস্ত্র তৈরিতে জোর, টার্গেট কী ?
Defence Budget 2025 : বেজিং পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট তৈরি হতেই চাপ বাড়ছে দিল্লির। এবার বাজেটে (Budget 2025) দেখা যেতে পারে তারই প্রতিফলন।

Defence Budget 2025 : চিনের সঙ্গে সীমান্তে (India China Relation) সেনা সরানোর সমঝোতা হলেও সেভাবে স্বস্তিতে নেই দেশ। বেজিং পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট তৈরি হতেই চাপ বাড়ছে দিল্লির। এবার বাজেটে (Budget 2025) দেখা যেতে পারে তারই প্রতিফলন। বাইরে থেকে যুদ্ধের সরঞ্জাম কেনার পাশাপাশি মেক ইন ইন্ডিয়াতেও (Make In India) জোর দেবে মোদি সরকার (PM Modi)। পাশাপাশি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক যুদ্ধের অস্ত্র বিক্রি করা হবে বিদেশে।
প্রতিরক্ষা খাতে সংস্কারের বাজেট হবে এবার
এবারের বাজেটে (2025-26) প্রতিরক্ষা খাতে বর্ধিত বরাদ্দের দিকে প্রধান নজর থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য, প্রতিরক্ষা খাতে বড় আধুনিকীকরণ ছাড়াও স্বদেশীকরণে জোর দেওয়া। আগেই এই কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আসন্ন বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মূলধনী ব্যয়ের পথ প্রশস্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্বনির্ভরতা ও কম আমদানি নির্ভরতার দিকে সরকারের ফোকাস থাকবে। আকার দেবে।
প্রতিরক্ষা ঘাটতি পূরণে কী ব্যবস্থা
এই বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুব্রত সাহা (প্রাক্তন সদস্য এনএসএবি ও সেনাবাহিনীর উপপ্রধান) এবিপি লাইভকে বলেন, “সরকারের উচিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে 2025 সালকে 'সংস্কারের বছর' হিসাবে ঘোষণা করা। যার মাধ্যমে ঘোষিত ইচ্ছেকে বাস্তবায়িত করতে আর্থিক সহায়তার দিকেও নজর দিতে হবে মোদি সরকারকে। বর্তমানে দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত করতে হবে সরকারকে। যা মাল্টি-ডোমেনে সব বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে অপারেশনে সক্ষম হবে।"
চিন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ নিয়ে কী পরিকল্পনা
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জানিয়েছেন, “চিন, পাকিস্তান ও বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার সীমান্তে চিন্তা বাড়াচ্ছে। সেই কারণে দ্রুত উন্নত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা ঘাটতি পূরণ করা জরুরি। আমাদের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য জাতীয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষমতারও সুবিধা নিতে হবে।” ১ জানুয়ারি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ২০২৫ সালের বাজেটকে 'সংস্কারের বছর' হিসাবে দেখছে। যেখানে সশস্ত্র বাহিনীকে প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করার উপর জোর দেওয়া হবে।
প্রতিরক্ষা রফতানির দিকে নজর
সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা রফতানি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করেছে। মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ছোট ইউরোপীয় দেশগুলিতে প্রতিরক্ষা পণ্য বিক্রির দিকে নজর দিচ্ছে ভারত। বর্তমানে প্রতিরক্ষা রফতানি 2023-24 আর্থিক বছরে রেকর্ড 21,083 কোটি টাকা স্পর্শ করেছে। যা আগের অর্থবর্ষের তুলনায় 32.5 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে এটি ছিল 15,920 কোটি টাকা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, 2013-14 আর্থিক বছরের তুলনায় গত এক দশকে রফতানি 31 গুণ বেড়েছে। বেসরকারি খাত ও প্রতিরক্ষা পিএসইউগুলি যথাক্রমে প্রায় 60 শতাংশ এবং 40 শতাংশ এতে অবদান রেখেছে।
Union Budget 2025: বাজেটের কথা মাথায় রেখে ৬৮টি স্টক বাছল এই ব্রোকারেজ হাউজ, কাদের নাম আছে ?






















