BYJU'S: এই সংস্থার ভাঁড়ারে টান, ২০ হাজার কর্মীর বেতন আটকে যাবে এই মাসে
Byju's Employee Salary: ফান্ড আটকে যাওয়ার কারণে মার্চ মাসের ১০ তারিখে বেতনও দিতে পারবে না সংস্থা। আটকে যাবে ২০ হাজার কর্মীর বেতন। সংস্থার নাম বাইজুস।
Employee Salary: কিছুদিন আগেই এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছিল ইডি। বিদেশি মুদ্রা আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর উপর। বেশ কয়েক বছর ধরেই সমস্যায় আছে এই এডু-টেক সংস্থা। ইডির তদন্তে এই সংস্থার ৯ হাজার কোটি টাকা জরিমানাও হয়। আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। আর এবার জানা গেল ফান্ড আটকে যাওয়ার কারণে মার্চ মাসের ১০ তারিখে বেতনও দিতে পারবে না সংস্থা (BYJU'S)। আটকে যাবে ২০ হাজার কর্মীর বেতন। সংস্থার নাম বাইজুস। প্রতিষ্ঠাতা বাইজু রবীন্দ্রন। এই সংস্থার যে ২০ হাজার কর্মী তাঁদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের জন্য অপেক্ষা করছে, তাঁদের অপেক্ষার দাম থাকবে না।
ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুন্যালের বেঙ্গালুরু বেঞ্চ জানিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মুলতুবি থাকা আইনি জটিলতাগুলির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাইজুসকে (BYJU'S) তাঁর রাইটস ইস্যু থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যার মূল্য প্রায় ২৫০-৩০০ মিলিয়ন ডলার। আর এই পরিস্থিতিতে ফান্ড আটকে যাওয়ায় কর্মীদের বেতনও আটকে যাবে।
বাইজু রবীন্দ্রন, সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এর আগে তাঁদের কর্মীদের জানিয়েছিলেন যে আইনি জটিলতার মধ্যে দিয়ে গেলেও সংস্থার আর্থিক অবস্থা ভাল না হলেও কর্মীরা ঠিকই মার্চ মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই বেতন পাবেন। যদিও সম্প্রতি কর্মীদের সঙ্গে তাঁর বার্তালাপের মধ্যে এই প্রতিশ্রুতি রক্ষার অপারগতার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে বলেই সূত্রের খবর। একটি চিঠিতে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা বাইজু রবীন্দ্রন (Byju Ravindran) কর্মীদের উদ্দেশে জানিয়েছেন, 'খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা এখনও আপনাদের আগের মাসের বেতন প্রসেস করতে পারিনি। আগের মাসে আমাদের পুঁজি আটকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছিলাম। এখন আমরা ফান্ডের অভাবে বাধ্য হচ্ছি দেরিতে বেতন দিতে।' ২০ হাজারেরও বেশি কর্মীকে এই বার্তা দিয়েছেন বাইজু রবীন্দ্রন।
কয়েক সপ্তাহ আগেই বাইজুসের চার বিনিয়োগকারী সংস্থা থেকে বাইজু রবীন্দ্রনকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মামলা দায়ের করেছিলেন এনসিএলটিতে। অভিযোগ ছিল সংস্থার বাজারদর তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, আর তাই শীর্ষপদ থেকে বাইজুকে (BYJU'S) সরিয়ে ফেলতে চান বিনিয়োগকারীরা। জানা গিয়েছে যে এই সংস্থার ৩০ শতাংশের মালিক এক কনসর্টিয়াম বাইজু রবীন্দ্রনকে সরানোর জন্য চেষ্টা করে চলেছেন। ইডিও পিছনে পড়ে রয়েছে বাইজুসের। ইডির তদন্তে ধরা পড়েছে ২০১১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ হয়েছে এই বাইজুস সংস্থায়। ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট ও অডিট না করানোর কারণেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সংস্থা, এবার ফান্ডের অভাবে বেতন আটকে গেল সংস্থার হাজার হাজার কর্মীদের।
আরও পড়ুন: Gold Price : সোনার দর বেড়েছে ২৭০০ টাকা, গোটা বিশ্ব কেন এত সোনা কিনছে?