Gold Discovery : ভারতে সোনার খনির সন্ধান, এই রাজ্যের একাধিক জেলায় প্রায় ২০ টন সোনা মজুদ
Gold Reserve: শীঘ্রই এই খনিগুলির নিলাম কৌশলের বিষয়ে এগোবে সরকার।

Gold Reserve: বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটালের মধ্যেই এবার ভারতের মধ্যে দারুণ খবর। দেশের এই রাজ্যের একাধিক জেলায় সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে (Gold Discovery)। সম্প্রতি এউ খবর নিশ্চিত করেছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (GSI)। শীঘ্রই এই খনিগুলির নিলাম কৌশলের বিষয়ে এগোবে সরকার।
কোন রাজ্যে কোথায়-কোথায় পাওয়া গিয়েছে সোনা
দেওগড় (আদাসা-রামপল্লি), সুন্দরগড়, নবরঙ্গপুর, কেওনঝার, আঙ্গুল এবং কোরাপুটে সোনার মজুদ নিশ্চিত করেছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (GSI)।। এ ছাড়াও ময়ূরভঞ্জ, মালকানগিরি, সম্বলপুর ও বৌদ্ধে সোনার খোঁজ চলছে। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে খনিমন্ত্রী বিভূতি ভূষণ জেনা ওড়িশা বিধানসভায় এই তথ্য নিশ্চিত করার পর এই খবর জনসমক্ষে আসে।
আনুমানিক পরিমাণ কত হতে পারে
সোনার মজুদের বিষয়ে কোনও সরকারি পরিসংখ্যান এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে, ভূতাত্ত্বিক সূচকের ভিত্তিতে, বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন- এই জায়গাগুলিতে মজুদ সোনার পরিমাণ ১০ থেকে ২০ মেট্রিক টন হতে পারে, যা ভারতের সোনা আমদানির পরিমাণের তুলনায় সামান্য।
ভারতে সোনার বর্তমান অবস্থা কী
গত বছর ভারত প্রায় ৭০০-৮০০ মেট্রিক টন সোনা আমদানি করেছিল।
দেশীয় সোনার উৎপাদন সর্বনিম্ন, ২০২০ সালের হিসাবে বার্ষিক মাত্র ১.৬ টন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওড়িশার এই সোনার খনির আবিষ্কার ভারতকে গোল্ড ম্যাপে বড় কোনও জায়গা দেবে না। তবে এটি দেশীয় উত্তোলন এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের জন্য দরজা খুলে দেবে।
সরকারি পদক্ষেপ এবং খনির সম্ভাবনা
ওড়িশা সরকার, ওড়িশা মাইনিং কর্পোরেশন (OMC) এবং GSI-এর সঙ্গে এই আবিষ্কারগুলিকে বাণিজ্যিকীকরণের জন্য দ্রুত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। দেওগড়ে প্রথম সোনার খনির ব্লক নিলাম করার পরিকল্পনা চলছে, যা রাজ্যের খনিজ খাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। GSI সম্পদ যাচাই করার জন্য আদাসা-রামপল্লি এবং গোপুর-গাজীপুরের মতো অঞ্চলে G3 (প্রাথমিক পুনর্গঠন) থেকে G2 স্তর (বিস্তারিত নমুনা এবং খনন) পর্যন্ত তার খোঁজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এরপর কী হবে ?
আকরিকের গ্রেড ও উত্তোলনের যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য অনুসন্ধান ও ল্যাব বিশ্লেষণ চূড়ান্ত করা হবে।
বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা মূল্যায়নের জন্য প্রযুক্তিগত কমিটি তৈরি করা হবে।
এমএমডিআর আইনের নির্দেশিকা অনুসারে স্বচ্ছ খনির ব্লক নিলাম আয়োজন করা হবে।
পরিবেশগত এবং সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন করবে সরকার ।
খনির কার্যক্রমের জন্য অবকাঠামো, রাস্তা, বিদ্যুৎ, জলের ব্যবস্থা করা হবে।






















