GST 2.0: বাড়ি-ফ্ল্যাট কিনতে বড় স্বস্তি পাবেন মধ্যবিত্তরা, এক ধাক্কায় ৭.৫ লক্ষ টাকা বেঁচে যাবে GST সংস্কারে ? আর কী সুবিধে ?
GST 2.0 Reforms: বিশেষজ্ঞদের ধারণা জিএসটি কাঠামোর উন্নতির ফলে রিয়েল এস্টেট খাত বেশি লাভবান হবে। সিমেন্ট, স্টিল, টাইলস, রঙের মত নির্মাণ সামগ্রীর দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে যার ফলে ফ্ল্যাটের দাম কমতে পারে।

GST Reforms: এই দীপাবলীতে আপনি যদি বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে আপনি বড় স্বস্তি পেতে চলেছেন। সরকারের তরফে জিএসটি কাঠামো সরলীকরণ করা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের প্রস্তাবের অধীনে জিএসটির বর্তমান ৪টি স্ল্যাব রয়েছে – ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ। জানা গিয়েছে এই চারটি স্ল্যাব সরিয়ে মাত্র দুটি স্ল্যাব রাখা হবে- ৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশ। এর সঙ্গে বিলাসবহুল ও ক্ষতিকারক পণ্যের উপরেও ৪০ শতাংশ জিএসটি আরোপের প্রস্তাব রয়েছে। ৩-৪ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিলের সভায় এই পরিবর্তনগুলি অনুমোদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রিয়েল এস্টেট সেক্টরের জন্য বড় সুবিধে
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে জিএসটি কাঠামোর উন্নতির ফলে রিয়েল এস্টেট খাত সবথেকে বেশি লাভবান হবে। সিমেন্ট, স্টিল, টাইলস, রঙের মত নির্মাণ সামগ্রীর দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে যার ফলে ফ্ল্যাটের দাম কমতে পারে। বর্তমানে সিমেন্টের উপরে ২৮ শতাংশ জিএসটি, স্টিল, টাইলস ও রঙের উপরে ১৮ শতাংশ কর আরোপ করা হয়ে থাকে। যদি এগুলিকে ১৮ শতাংশ স্ল্যাবের মধ্যে রাখা হয় তাহলে ফ্ল্যাটের দাম প্রতি বর্গফুটে ১৫০ টাকা কমে যেতে পারে অর্থাৎ ১০০০ বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্টে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হতে পারে।
রিয়েল এস্টেটে বর্তমান জিএসটি কাঠামো
৪৫ লক্ষ টাকার উপরে নির্মাণরত ফ্ল্যাটের উপরে ৫ শতাংশ জিএসটি ধার্য হয়।
৪৫ লক্ষ টাকা মূল্য পর্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের উপরে ১ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা হয়।
রেডি টু মুভ ফ্ল্যাটের উপরে কোনও জিএসটি নেই।
সিমেন্টের উপরে ২৮ শতাংশ জিএসটি, স্টিল, টাইলস ও রঙের উপরে ১৮ শতাংশ কর আরোপ করা হয়ে থাকে।
ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট সম্পর্কে কী বলা হয়েছে
২০১৯ সাল থেকে ডেভেলপাররা নির্মাণ সামগ্রীর উপরে আইটিসি দাবি করতে পারবেন না। এর অর্থ হল নির্মাণ সামগ্রীর উপরে জিএসটি সরাসরি ফ্ল্যাটের দামের সঙ্গে যুক্ত হবে। যেমন ১০০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের দাম যদি হয় ২৫ লক্ষ টাকা তাহলে আইটিসি না পাওয়ার কারণে ৫ লক্ষ টাকার অতিরিক্ত কর আরোপ করা হতে পারে।
রিয়েল এস্টেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছে এই জিএসটি সংস্কারের ফলে ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হতে পারে। মূলত নির্মাণ সামগ্রীর উপর থেকে জিএসটি কমানোর ফলে ফ্ল্যাটের দামও কমে যাবে। আর বাড়ি তৈরি আগের থেকে আরও সাশ্রয়ী হবে যা মধ্যবিত্তদের অনেক স্বস্তি দেবে।






















