Hinduja Family Servant Case: জেলে যেতে হবে না হিন্দুজা পরিবারের সদস্যদের, মানব পাচারের অভিযোগ খারিজ
Hinduja Family: সংবাদ মাধ্য়মে বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছে হিন্দুজা পরিবারের মুখপাত্র। যার ফলে কোনও নির্দেশই এখন কার্যকর হবে না ।
Hinduja Family: পরিচারকদের সঙ্গে দুর্বব্যবহার মামলায় (Hinduja Family Servant Case) হিন্দুজা পরিবারে আপাত স্বস্তি। নিম্ন আদালতে কারাবাসের সাজার পর উচ্চ আদালতে গেল মামলা। সংবাদ মাধ্য়মে বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছে হিন্দুজা পরিবারের মুখপাত্র। যার ফলে কোনও নির্দেশই এখন কার্যকর হবে না ।
কী বলা হয়েছে হিন্দুজা পরিবারের তরফে
সম্প্রতি সুইস কোর্টের রায় নিয়ে কমল, প্রকাশ , নম্রতা ও অজয় হিন্দুজার মুখপাত্রের তরফে একটি মিডিয়া বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, হিন্দুজা পরিবারের সদস্যদের কোনও কারাদণ্ডের সাজা হয়নি। পরিবারের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগও খারিজ হয়েছে। এমনকী তাঁদের আটকও করা হয়নি।
আসলে কী হয়েছে সুইস কোর্টে
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সুইস আইন অনুসারে- নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকেনি। এমনকী সর্বোচ্চ বিচার ব্যবস্থার দ্বারা চূড়ান্ত রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তকে নির্দোষ হিসাবেই ধরা হয়। হিন্দুজা পরিবারের বিরুদ্ধে মানব পাচারের সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ আদালত সম্পূর্ণভাবে খারিজ করেছে।
Hinduja Family: কোথা থেকে ঘুরে গেল মামলা ?
এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, এই মামলায় আর কোনও অভিযোগকারী নেই। অভিযোগকারীরা আদালতে জানিয়েছেন, স্বাক্ষরিত বিবৃতির বিষয়ে তারা বুঝতেও পারেনি। তাদের এই ধরনের অভিযোগ করার কোনও ইচ্ছাও ছিল না। তাদের সকলেই জানিয়েছে, হিন্দুজা পরিবারের চার সদস্য তাদের সাথে "সম্মান, মর্যাদা এবং পরিবারের মতো" আচরণ করেছেন। তাই পরিবারের চার সদস্যের সুইস বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং তারা নিশ্চিত যে সত্যের জয় হবে।
কী হয়েছিল আদতে
আসলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধনী পরিবার হিন্দুজা ফ্যামিলি। পরিবারের কিছু সদস্য ব্রিটেনের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের একজন। যাদের বিরুদ্ধে সুইস আদালতে বাড়ির পরিচারকদের সঙ্গে খারাপ আচরণের জন্য কারাবাসের সাজা শোনায়। তারপরই ঘুরে যায় মামলার মোড়।
Hinduja Family: এই চার সদস্য শাস্তি পেয়েছেন
হিন্দুজা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যাদের সুইস আদালতে কারাগারের সাজা শেনাা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে ভারতে জন্মগ্রহণকারী ধনকুবের প্রকাশ হিন্দুজা, তার স্ত্রী, ছেলে এবং পুত্রবধূ। তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও চাকরদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। আদালতে মানবপাচারের অভিযোগের সত্যতা না পাওয়া গেলেও দুর্ব্যবহারের মামলায় তাদের সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: GST council meeting: GST-র আওতায় ! দাম কমছে পেট্রোল-ডিজেলের ? এই বললেন অর্থমন্ত্রী