India’s WPI inflation: আগের মাসের থেকেও অক্টোবরে বাড়ল পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার
WPI Inflation Rises: গত সাত মাস ধরে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার দুই অঙ্কের ওপরেই রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রক ( Ministry of Commerce and Industry) প্রকাশিত পরিসংখ্যাণে এই তথ্য জানা গিয়েছে।
নয়াদিল্লি: নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি হাঁসফাঁস সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতি থেকে মানুশের সুরাহার কোনও দিশা এখনও মিলছে না। অক্টোবর মাসে পাইকারি মূল্য সূচকাঙ্ক ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির ( WPI based Inflation) হার ছিল ১২.৫৪ শতাংশ। গত সেপ্টেম্বর মাসে এই হার ছিল ১০.৬৬ শতাংশ। অক্টোবর মাসের পাইকারি মূল্য সূচকাঙ্ক ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির হার গত পাঁচ মাসে সবচেয়ে বেশি। গত সাত মাস ধরে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার দুই অঙ্কের ওপরেই রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রক ( Ministry of Commerce and Industry) প্রকাশিত পরিসংখ্যাণে এই তথ্য জানা গিয়েছে।
অক্টোবরে কেন বেড়েছে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী,সেপ্টেম্বরের তুলনায় ডব্লুপিআই ১০.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২.৫৪ শতাংশ হয়েছে। এই সময় পর্বে খাদ্যসামগ্রীর পাইকারি মূল্যসূচক ১.১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩.০৬ শতাংশ। শাকসব্জির পাইকারি মূল্যসূচক -৩২.৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে -১৮.৪৯ শতাংশ। উৎপাদিত পণ্যের ডব্লুপিআই ১১.৪১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১২.০৪ শতাংশ। ফুয়েল ও পাওয়ারের পাইকারি মূল্যসূচক সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। তা ২৪.৮১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৭.১৮ শতাংশ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জ্বালানি (পেট্রোল ও ডিজেল) ও বিদ্যুতের দাম দ্রুত বৃদ্ধির ফলে পাইকারি মূল্য সূচক এতটা বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে, এই মুদ্রাস্ফীতির কারণে উৎপাদিত পণ্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত শুক্রবার খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ( Retail Inflation ) সংক্রান্ত পরিসংখ্যান জারি হয়েছিল। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে খুচরো ৪.৩৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪.৪৮ শতাংশ। এই হার আরবিআইয়ের মুদ্রাস্ফীতি হার সংক্রান্ত অনুমান ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে।
এই পরিসংখ্যান অক্টোবর মাসের জন্য। এবার দীপাবলির একদিন আগে কেন্দ্র পেট্রোল ও ডিজেলের উৎপাদন শুল্ক হ্রাস করেছে। এরপর কয়েকটি রাজ্যেও ভ্যাট কমানো হয়েছে। এরফলে চলতি নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির হারের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে অনুমান। এতে মুদ্রাস্ফীতির হার কমতে পারে। নভেম্বরে শাক-সব্জির যোগান বৃদ্ধির ফলেও এই মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার কম হতে পারে।