Rice Price Up: চিন্তা বাড়ল আম আদমির, চালের দাম বাড়ছেই, নিশ্চিত করল সরকার
Price Hike: জল্পনা চলছিল কয়েকদিন ধরেই। এবার তাতে সিলমোহর দিল খোদ কেন্দ্রীয় সরকার।
Price Hike: জল্পনা চলছিল কয়েকদিন ধরেই। এবার তাতে সিলমোহর দিল খোদ কেন্দ্রীয় সরকার। খাদ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে বাড়বে চালের দাম। ঘাটতি পুষিয়ে না উঠতে পারলে এই দাম বৃদ্ধি চলবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ভবিষ্যতে চালের দাম বাড়বে
অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা খবর নিশ্চিত করেছে খোদ কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবারই এই বিষয়ে নোটিফিকেশন জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রক। যেখানে ভারতের চাল রফতানি নীতিতে সাম্প্রতিক সংশোধনীর বিস্তারিত কারণ তুলে ধরেছে সরকার। খাদ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দেশে চালের দাম আরও বাড়বে। খাদ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা এখনই দেখা গিয়েছে। খরিফ মরশুমে কম চাল উৎপাদনের পূর্বাভাস ও অ-বাসমতি চাল রফতানিতে ১১ শতাংশ বৃদ্ধির কারণেই চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
Rice Price Up:দেশে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার
খাদ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতের চাল রফতানি নিয়মের সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলির পরও অভ্যন্তরীণ দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে সরকার। চলতি মাসের শুরুর দিকে সরকার ভাঙা চাল রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। সেখানে বাসমতি নয় এমন চালের ওপর ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক আরোপ করেছে কেন্দ্র। সরকারের তরফে বলা হয়েছে , ৬ মিলিয়ন টন ধান কম উৎপাদনের পূর্বাভাসের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর আগে ভাঙা চাল রপ্তানির সময়সীমা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত ৯ সেপ্টেম্বর ভারত তাৎক্ষণিকভাবে ভাঙা চাল রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল।
Price Hike: খুচরো ও পাইকারি মূদ্রাস্ফীতির ওপর চাপ
দেশে খাদ্যশস্য-সহ সব খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে। যে কারণে খুচরো মূদ্যাস্ফীতি গত তিন মাস ধরে হ্রাস হলেও ফের বাড়তে শুরু করেছে। অগস্ট মাসে তা ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। এর পাশাপাশি পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হারে খাদ্যশস্যসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের দামের ওপর চাপ বেড়েছে। যে কারণে চালের দাম নতুন করে চিন্তা বাড়াবে দেশের আর্থিক নীতি নির্ধারক কমিটির।
Rice Prices: এ বছর ধানের উৎপাদন কমবে
ভারতের ধান উৎপাদন 2021-22 শস্য বছরে 132.29 মিলিয়ন টন হয়েছে, যা এক বছর আগের 1243.7 মিলিয়ন টন থেকে বেড়েছে। খাদ্য মন্ত্রক অনুমান করছে, এই বছরের খরিফ শস্যের মরশুমে চাল উৎপাদন 60-70 লক্ষ টন কম হবে।মনে রাখতে হবে, দেশের মোট ধান উৎপাদনে খরিফ মরশুমের অবদান প্রায় ৮৫ শতাংশ।